বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের ‘জুলাই বিপ্লব’ এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালী সরকারকে স্বীকৃতি দিল আমেরিকা। এটা যে হবে, তার ইঙ্গিত অবশ্য আগেই পাওয়া গিয়েছিল। বাংলাদেশের হাসিনা সরকার কিছুতেই আমেরিকার কাছে মাথা নত করে নি।

 

আর তার ফলেই হাসিনা সরকারের পতনের পিছনে আমেরিকার একটা ভূমিকা ছিল বলেই বিশ্ব কূটনীতিকরা মনে করেন। আমেরিকায় রাষ্ট্রপুঞ্জের সভায় ইউনিউসের মুখোমুখি হতেই বাইডেন বুঝিয়ে দিলেন এই নতুন সরকারের উপর তাদের সম্পূর্ণ সমর্থন আছে। ঢাকায় এসে বাংলাদেশকে ২০ কোটি ডলারের বেশি আর্থিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে চুক্তি করেছিল ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট। তবে মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর), খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়ে ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনকে পূর্ণ সমর্থন দিলেন। আমেরিকা জানিয়ে দেয়, বাংলাদেশের নতুন সরকারকে যেকোনো ধরনের সাহায্য করতে তারা প্রস্তুত।

গত তিনদিন ধরে আমেরিকায় হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের মহা সম্মেলন।রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, অধ্যাপক ড. মহম্মদ ইউনুস। বৈঠকে বাইডেনকে কী জানান ইউনুস? হাসিনা সরকারের আমলে কী কী ভাবে নিপীড়ন হয়েছে, তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা কীভাবে সাহসের সঙ্গে রুখে দাঁড়িয়েছিল, বাংলাদেশ পুনর্গঠনে তারা কীভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে, সেই গল্প শোনান বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভক ‘জুলাই বিপ্লব’ বলে উল্লেখ করেন ইউনুস। ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ (বিজয়ের শিল্প) একটি আর্টবুকও তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে উপহার দেন। তাতে, আন্দোলন চলাকালীন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা যে সমস্ত দেওয়ালচিত্র এঁকেছিল সেই সবের ছবি রয়েছে। বাইডেন সমস্ত ছবি দেখে ভুয়োসি প্রশংসা করেন বাংলাদেশের ছাত্র সমাজের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *