বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: অবশেষে ঘাটালে বন্যার জল কমতে শুরু করেছে। ঘাটাল মহকুমার বিভিন্ন নদীর জলস্তর একটু একটু করে কমতে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু বিভিন্ন গ্রামীন এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। চাষের জমি জলের তলায়! এখনো প্রচুর মানুষ ত্রান শিবিরে আছেন।

 

ইতিমধ্যেই ঘাটাল-মেদিনীপুর সড়কে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় বন্যা পরিদর্শনে এসেছিলেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি পি উলগানাথন, ডিভিশনাল কমিশনার আয়েশা রানী, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অংশুমান অধিকারী। ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক খুরুশিদ আলি কাদেরি, এসপি ধৃতিমান সরকার। তাঁরা বিভিন্ন প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেন। ছিলেন ঘাটালের এসডিও সুমন বিশ্বাস সহ অন্যান্য আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা। এই দিন জেলাশাসক বলেন, এখন জল নামছে। আগামীদিনে যা যা প্রস্তুতি নেয়ার কথা সব নেওয়া হবে। আমাদের রিলিফ ক্যাম্প মেডিক্যাল ক্যাম্প চলছে। এই দিন জেলার সি এম ও এইচ ডা:সৌম্য শংকর সারেঙ্গী বলেন, পাঁচটি ব্লকে মেডিক্যাল ক্যাম্প চলছে। দুটো বোটে মেডিকেল টিম প্লাবিত এলাকায় যাচ্ছে, আশা কর্মীরা সহ অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মীরা প্লাবিত এলাকায় পৌঁছাচ্ছেন। বন্যার জল নেমে যাবার পর পানীয় জল বিশুদ্ধকরণ এবং এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু হবে। এই দিন রাজ্য থেকে আসা কৃষি দপ্তরের একটি উচ্চ পর্যায়ের দল বিভিন্ন প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেন। তাঁরা জানিয়েছেন, প্রতিটি কৃষক যাতে শস্য বীমার আওতায় আসেন, সেই ব্যবস্থা করা হবে। রবি চাষের মরশুমে যে সমস্ত রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলি আছে সেগুলি থেকে যাতে কৃষকরা উপকৃত হন তা দেখা হবে। ঘাটাল পৌরসভার ১৭ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২ টি ওয়ার্ড জলমগ্ন। পানীয় জল নিয়ে অভিযোগ আছে প্লাবিত এলাকার মানুষজনের। ঘাটাল মহকুমায় প্রায় ৪০ টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। ঘাটাল মহকুমার ৩১ হাজার হেক্টর জমি জলের তলায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *