বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার পরে পরেই ভারতের সঙ্গে চিনের যুদ্ধ ভারতবাসী কখনো ভুলবে না। সেই থেকেই ভারত-চিন সম্পর্ক বেশ খারাপ। তাছাড়া অরুণাচল প্রদেশকে কেন্দ্র করে ভারত-চিনের সীমান্ত সমস্যা দীর্ঘ দিনের।
মাঝে মাঝেই লাল ফৌজ আক্রমন চালানোর চেষ্টা করে ভারতের উপর। কিন্তু ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর জানাচ্ছেন, এবার সেই সমস্যা অনেকটাই মেটার পথে। উল্লেখ্য, গালওয়ানের ভারত-চিন সীমান্তে দুই দেশের সেনার সংঘর্ষের পর থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। সেনা মোতায়েন করে রেখেছে দুই দেশই। তবে আপাতত সেনা সরানো নিয়ে ইতিবাচক ঘটনা ঘটছে বলেই জানান জয়শংকর।জেনেভায় একটি বৈঠকে অংশ নিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। সেখানেই নিরাপত্তা নীতি বিষয়ক একটি আলোচনাসভায় ভারত-চিন সীমান্ত নিয়ে কথা বলেন তিনি। যেকোনও সীমান্তে সেনা মোতায়েনের মাত্রা যদি বেড়ে যায়, সেটা যথেষ্ট দুশ্চিন্তার বিষয় বলেই জয়শংকরের মত। তবে ভারত যে চির শান্তির দেশ তা তিনি সকলকে স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, ভারত কখনোই যুদ্ধ চায় না। তিনি মনে করিয়ে দেন বুদ্ধ ও গান্ধীর শান্তির বাণী।
এই মুহূর্তে ভারতের বিদেশমন্ত্রী আছেন সুইজারল্যান্ডে। জয়শঙ্কর ওই সভায় স্পষ্ট করেই বলেন, চিন এই মুহূর্তে অনেকটাই সদর্থক ভূমিকা নিয়েছে। তিনি বলেন, “এখনও আলোচনা চলছে। খানিকটা এগিয়েছি আমরা। ধরে নেওয়া যায় সেনা সরানোর ক্ষেত্রে ৭৫ শতাংশ সমস্যা মিটেছে। তবে এখনও কিছু কাজ বাকি।” উল্লেখ্য, সুইজারল্যান্ডে এই সফরের মধ্যেই চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন জয়শংকর। তার আগে বিদেশমন্ত্রীর আশা, শান্তি ফেরানোর জন্য সেনা সরানোর ক্ষেত্রে পাকাপাকি সমাধান মিলবে। এভাবেই যদি আলোচনার টেবিলে সমস্যার সমাধান হয়, তাহলে তা হবে বিশ্বের এক নজির। ভারত এভাবেই রুশ-ইউক্রেন বা মধ্য প্রাচ্যের যুদ্ধ বন্ধ করতে চাইছে।