বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছাড়লেন জহর সরকার। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই কথা জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ।
এমনকী রাজনীতি থেকে বিদায় নিচ্ছেন বলেও সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ। ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে সেকথা জানিয়েও দিয়েছেন তিনি। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদেই যে তাঁর এই সিদ্ধান্ত সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আরজি কর কাণ্ড নিয়ে শাসক দলের অন্দরে বিরোধ তৈরি হয়েছে। প্রথম দিন থেকেই এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। গত ১৪ অগস্ট রাত জাগার কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তাই নিয়ে সুখেন্দু শেখরকে নিশানা করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষও।
আরজি কর হাসপাতালের ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যেই প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। তারপরেই তাঁকে লালবাজারে তলব করা হয়েছিল। সেই ঘটনার পরে হাইকোর্টে গ্রেফতারির আশঙ্কা করেছিলেন সাংসদ। এই নিয়ে শাসক দলের অন্দরেই তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের আরেক নেতা শান্তনু সেনও আরজি কর কাণ্ড নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। তার জেরে তাঁকে দলের মুখপত্রের পদ থেকে সরতে হয়েছিল।
আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে শাসক দলের অন্দরেই ক্রমাগত অস্বস্তি বেড়ে চলেছে। অভিনেতা সাংসদ দেব এই নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলায় সাংসদ দেবকেও নিশানা করেছেন কুণাল ঘোষ। এই নিয়ে তুমুল রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। আরজি কর কাণ্ড যেভাবে জন আন্দোলন শুরু হয়েছে তা রীতিমতো উদ্বেগজনক শাসক দলের কাছে।
এই জনপ্রতিবাদের মাঝেই শাসক দলের একের পর এক নেতা প্রকাশ্যে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসদের শাসকদলের একাধিক নেতা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। চিকিৎসকদের জন্য রোগীরা মারাচ্ছেন বলে অভিযোগ করে হুশিয়ারি দিয়েছেন। কয়েকদিন আগে দলের বিধায়ক অভিনেতা কাঞ্জন মল্লিক আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের রীতিমতো বেতন এবং বোনাস নেওয়া নিয়ে নিশানা করেছিলেন। দিয়েছেন। যেমন তাঁদের কাজ।