বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: প্যারিস প্যারালিম্পিক্সে ভারতের সোনালি সাফল্য অব্যাহত। পুরুষদের হাই জাম্পে টি সিক্সটি ফোর ইভেন্টে সোনা জিতলেন প্রবীণ কুমার। রেকর্ড গড়ে ২.০৮ মিটার লাফিয়ে সোনা জিতলেন। এটা শুধু প্রবীণের ব্যক্তিগত রেকর্ড নয়, এশিয়ান স্তরেও রেকর্ড।
টোকিওয়ে মাত্র ১৮ বছর বয়েসে রুপো জিতে, প্যারিলিম্পিক্সের ইতিহাসে ভারতের কনিষ্ঠতম পদকজয়ী হওয়ার নজির গড়েছিলেন তিনি। এদিন প্রবীণের সোনার পর ভারতের মোট পদক সংখ্যা দাঁড়াল ২৬। টোকিও প্যারালিম্পিকে ভারতীয় ক্রীড়াবিদরা ৫টি সোনা সহ ১৯টি পদক জিতেছিলেন। পদক সংখ্যার নিরিখে আগেই সর্বকালীন রেকর্ড গড়েছেন এবারের ভারতীয় অ্যাথলিটরা। এবার সোনা জয়ের নিরিখেও হল রেকর্ড।
নয়ডার গোবিন্দগড় গ্রামের জন্ম প্রবীণের। সেখান থেকে প্যারালিম্পিক্স চ্যাম্পিয়ন। যাত্রা পথটা সহজ ছিল না প্রবীণের জন্য। ২১ বছরের অ্যাথলিটের একটি পা জন্ম থেকেই স্বাভাবিক নয়। একটু ছোটো। যদিও প্যারিসে নিজের শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে অবিশ্বাস্য লাফ তরুণ প্রবীণের।
ছোট থেকেই খেলতে ভালবাসেন প্রবীণ। স্কুলে চুটিয়ে ভলিবল খেলতেন। সেটাই ছিল তাঁর প্রিয় খেলা। কিন্তু পরে ক্রীড়া শিক্ষকের পরামর্শে অ্যাথলেটিক্সে আসেন। দিল্লির মতিলাল নেহরু কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করেন প্রবীণ।
টোকিও প্যারালিম্পিক্সে টি৬৪ ইভেন্টে ২.০৭ মিটার লাফিয়ে ছিলেন এবং সোনা জিতেছিলেন। তিনবছর আগে সেটা ছিল এশিয়ান রেকর্ড। এ বারে আবার রেকর্ড গড়লেন তিনি। প্যারিসে রেকর্ড গড়ে ২.০৮ মিটার লাফিয়ে সোনা জিতলেন।
প্যারিস প্যারালিম্পিক্সে প্রবীণ আসলে টি-৪৪ বিভাগে প্রতিনিধিত্ব করেন। প্যারালিম্পিক্সের হাই জাম্পের এই ইভেন্টে অংশ নিতে পারেন টি-৬২ ও টি-৬৪ বিভাগের প্যারা অ্যাথলিটরাও। প্রবীণ ১.৮৯ মিটার প্যারিসে অভিযান শুরু করেন। এরপর ক্রমশ নিজের সেরাটা দিতে থাকেন।। এরপর ১.৯৩, ১.৯৭, ২.০০, ২.০৩, ২.০৬ মিটার জ্যাম্প করেন। তবে শেষ প্রচেষ্টাতে সব কিছুকে ছাপিয়ে গেলেন। ২.০৮ মিটার উচ্চতা টপকে যান। সেই সঙ্গে সোনা জেতেন।
এই ইভেন্টে আমেরিকার লসিডেন্ট ডেরেক রুপো জেতেন, ব্রোঞ্জ জেতেন উজবেকিস্তানের গিয়াজোভ তেমুরবেক ও পোল্যান্ডের লেপিয়াতো মাসিয়েজ। তবে এশিয়ান স্তরের রেকর্ড ফের একবার দখল করলেন প্রবীণ।
টোকিতে ১৯ পদক জিতেছিল ভারত। সেই সংখ্যা আগেই টপকে গিয়েছেন এবার প্যারা অ্যাথলিটরা। এবার সোনা জয়ের নিরিখেও রেকর্ড তৈরি হল। মেডেল সংখ্যার নিরিখে ভারত অবস্থান করছেন যুগ্মভাবে ক্রমতালিকার ১৩ নম্বরে। এখনও পদকের সংখ্যা বাড়তে পারে।