বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এখন অত্যন্ত বিপাকে রয়েছেন। সিবিআই হেফাজতে তার এখন দিন কাটছে। সুপ্রিম কোর্টও তার বক্তব্য শুনতে রাজি হচ্ছে না। বিভিন্ন ক্ষেত্রে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসছে তার বিরুদ্ধে। তবে সন্দীপকে সার্টিফাই করছেন তার স্ত্রী৷
সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কিছুই পাওয়া যায়নি। সবটাই সাজানো। কোনও কাগজপত্রই পাওয়া যাবে না। মারাত্মক এই দাবি করলেন সন্দীপ ঘোষের স্ত্রী। আজ শুক্রবার এই বক্তব্য রেখেছেন সন্দীপ ঘোষের স্ত্রী।
আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনায় সরাসরি এখনও সন্দীপ ঘোষের নাম সামনে আসেনি। কিন্তু সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তিনি সেই সময় আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ পদে ছিলেন। তিনি কেন পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেননি? কেন?মৃতার বাবা – মাকে সত্য কথা বলা হয়নি? মৃতদেহ দেখতে সুযোগ করে দেওয়া হয়নি? সেই প্রশ্ন উঠেছে।
কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট, সর্বোচ্চ বিচারপতির এজলাস। সব ক্ষেত্রেই সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। খোদ বিচারপতিরা তার প্রভাবশালী ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। পুলিশ কেন সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসা বাদ করেনি? কেন তার বয়ান রেকর্ড করা হয়নি? সেই প্রশ্ন আদালতে ওঠে। এরপর সন্দীপ ঘোষের নামে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে আছে।
সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্ট। ধারাবাহিকভাবে অফিসে ডেকে জেরা করেন সিবিআই আধিকারিকরা। চলতি সপ্তাহে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ইডিও তদন্ত শুরু করেছে। আজ সাত সকালে সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সন্দীপ ঘোষের নামে কত সম্পত্তি রয়েছে? সেই সব খোঁজখবর করা হচ্ছে।
তার মধ্যেই এবার মুখ খুললেন সন্দীপ ঘোষের স্ত্রী। তিনি এত দিন প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি। বাড়ির দরজা খোলার সময় সাংবাদিকরা তাঁর দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিলেন। সেই সময় সামান্য কিছু বক্তব্য রাখেন তিনি। সন্দীপ ঘোষের উপর তিনি অগাধ আস্থা রাখছেন। সন্দীপ ঘোষ সৎ মানুষ। তাঁর বক্তব্যে নির্যাস হিসেবে সে কথাই উঠে আসছে।
” সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উঠছে, তা সবটাই মিথ্যে। এক সময় সব কিছু প্রমাণ হয়ে যাবে। কোনও কাগজপত্রই পাওয়া যায়নি। আপনারা সব কিছু এক সময় বুঝতে পারবেন। তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে সব রকম সাহায্য করা হবে। কোনও কাগজপত্র পাওয়া যাবেও না।” জোর গলায় এই কথা দাবি করলেন তিনি।