বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: ৮ তারিখ মধ্য রাতে নির্যাতিতা খুন হওয়ার পরেই ১০ তারিখ কি এমন প্রয়োজন হলো যে সেই সেমিনার রুম চত্বরের একাংশ ভাঙতে হলো? এই প্রশ্ন প্রথম থেকেই উঠেছে? কিন্তু কার নির্দেশে ও কারা এই ভাঙার কাজ করলো তা সামনে আসছিল না।
এবার তা সামনে আসতেই নাগরিক মহল বিস্মিত। চিকিৎসকদের অন ডিউটি রুম-শৌচাগার ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ। সেই নির্দেশনামায় সই রয়েছে সন্দীপের। আর নির্দেশনামা ১০ অগাস্টের। তিলোত্তমা খুন হন ৮ অগাস্ট মধ্যরাতে। তাহলে কীভাবে এত বড় ঘটনার পর ভাঙার নির্দেশ? এমন মর্মান্তিক ঘটনার অব্যবহিত পরেই কেন ডাঃ সন্দীপ ঘোষ এই সিদ্ধান্ত নিলেন?
CBI সহ সকলেই বলেছেন, সম্ভবত প্রমাণ লোপাট করাই ছিল এর প্রধান উদ্দেশ্য। সামনে এসেছে,PWD-কে লেখা পারমিশন লেটার। চিকিৎসকদের অন ডিউটি রুম-শৌচাগার ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ। সেই নির্দেশনামায় সই রয়েছে সন্দীপের। আর নির্দেশনামা ১০ অগাস্টের। তিলোত্তমা খুন হন ৮ অগাস্ট মধ্যরাতে। তাহলে কীভাবে এত বড় ঘটনার পর ভাঙার নির্দেশ? নির্দেশনামায় উল্লেখ করা রয়েছে, ১০ অগাস্ট প্ল্যাটিনাম জুবলি বিল্ডিংয়ে যে বৈঠক হয়েছিল, সেখানে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা কৌস্তভ নায়েকের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেই মতো নির্দেশ দিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ। এবার তিলোত্তমা হত্যা রহস্য আরো যে ঘনীভূত হয়ে উঠেছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই!