বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনা পর্ব শেষ হবার পরেই একাধিক জঙ্গি গোষ্ঠীর নেতাদের কারাগার থেকে মুক্তি দিয়েছে বাংলাদেশের অন্তরবর্তী সরকার।

আর তার পরেই সোচ্চার হয়ে উঠছে বেশ কয়েকটি জামাত ঘনিষ্ঠ সংগঠন। চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারই ইউনুস সরকার এই ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল এবং তার শাখা সংগঠনের উপর থকে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। বাংলাদেশি গোয়েন্দারা নাকি, তাদের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীদের কোনও যোগসূত্র খুঁজে পায়নি। আর তাই ইউনুস সরকারের এই সিদ্ধান্ত। এই মুহূর্তে ইউনুস সরকার প্রায় তাদের হাতের পুতুলের পরিনত হয়েছে। জানা যাচ্ছে, গত রবিবার (২৫ অগস্ট), জামাতের কার্যালয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক, ইসলামি নেতাদের এক বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেখানে, হেফাজতে ইসলাম, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, খিলাফত আন্দোলন, জামেয়া মাদানিয়ার মতো বাংলাদেশের প্রায় সকল ইসলামি সংগঠনগুলির নেতারা এই বৈঠকে অংশ নেন। আর এই বৈঠকেই উঠেছে বাংলাদেশকে ইসলামি রাষ্ট্র হিসেবে পুনর্গঠন করার ডাক। অত্যাচার বেড়ে গেছে আওয়ামীলীগের সদস্যদের উপর। চিন্তায় বাংলাদেশের হিন্দু সমাজ।

জামাত ও অন্যান্য ইসলামি সংগঠন চাইছে, তারা ভোটে অংশ নেবে। গণতান্ত্রিকভাবেই ক্ষমতা দখল করে বাংলাদেশকে ইসলামি রাষ্ট্রে পরিণত করা হবে। জামাতের নেতৃত্বেই এটা সম্ভব বলে একমত হয়েছেন এই কট্টরপন্থী ইসলামি নেতারা। জানা যাচ্ছে, ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামের বরিষ্ঠ নেতা এএফএম খালিদ হোসেনও। কে এই খালিদ হোসেন? তিনি কিন্তু ইউনুস সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা। জামাতের ডাকা ওই বৈঠকে ইউনুস সরকারের ধর্ম উপদেষ্টার উপস্থিতি বলে দিচ্ছে, সরকারে এই ইসলামপন্থীদের প্রভাব বাড়ছে। সরকারের সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলিও সেই কথাই বলছে। আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মী, হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের উপর দেদার হামলা হচ্ছে। ভয় দেখানো, তোলাবাজি চলছে। দেখেও চোখ বন্ধ করে আছে সরকার। স্বাভাবিক কারণেই শঙ্কিত ভারত সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *