বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: আর জি কর কাণ্ডে লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষের মতো শাসক ও বিরোধী দলগুলো পথে নেমে প্রতিবাদ শুরু করেছেন। এ ছাড়াও বিনোদন জগতের মধ্য থেকেও শুরু হয়েছে প্রতিবাদ।
একদল শাসক দলের নেতা মন্ত্রী, আর অন্যরা হয় বিরোধী কোনো দলের বা কোনো দলেরই না। এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কিন্তু এরই মধ্যে তৃণমূল পন্থী শিল্পীদের শব্দ বাণে আক্রান্ত হতে হয়েছে বহু বিরোধী দলের নেতাদের কাছ থেকে ও বহু সাধারণ মানুষের কাছ থেকে। ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে ট্রোল্ড হতে হয়েছে সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়নী ঘোষদের। আরজি কর-কাণ্ডে যখন পথে নেমে প্রতিবাদ করেছেন সাধারণ মানুষ থেকে তারকারা, তখন তাঁদের দেখা গিয়েছে ১৬ অগস্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা পদযাত্রায়। তবে শুধু রচনা-সায়নী নয়, শাসকদলের আরও এক বিধায়ককে নিয়ে চলছে নিরন্তর কটাক্ষ সমালোচনা।
এবার সেই আক্রমনের উত্তর দিলেন তৃণমূল বিধায়ক সংগীত শিল্পী অদিতি মুন্সী। আর জি করের তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুতে তিনি আর পাঁচ জনের মতো কেন পথে নেমে প্রতিবাদ করলেন না, সেই নিয়ে সরব হয় নেটপাড়া। অদিতির গানের ঘরানা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যে হেতু ভক্তিগীতির শিল্পী অদিতি, তাই সেই প্রসঙ্গ তুলে কেউ কেউ ‘অতিভক্তি চোরের লক্ষণ’-সহ নানা কটূক্তি করেন। এছাড়াও আরো অনেক ব্যক্তিগত আক্রমন তাঁকে করা হয়েছে। সেই আক্রমনে অত্যন্ত আহত পেয়েছেন শিল্পী অদিতি মুন্সী। অদিতি লেখেন, ‘‘স্বাধীনতার ৭৭ বছর পর নারী নির্যাতন নিয়ে প্রতিবাদ করতে হচ্ছে, এটা ভাবলেই ঘেন্না হচ্ছে। আমি জানি এর পরেও অনেক মানুষ ব্যক্তিগত আক্রমণ করবেন, তবে সেটা আপনাদের ব্যক্তিগত রুচি। আপনারা যাঁরা দীর্ঘ দিন আমার সঙ্গে আছেন, তাঁরা জানেন যে আজ পর্যন্ত আমি সঙ্গীত বাদে কোনও রাজনৈতিক পোস্ট তো দূরের কথা, এমনকি কোনও নেতিবাচক কথাও বলিনি। কারণ আমার ধর্ম, আমার শিক্ষা, আমার সঙ্গীত, ঘৃণা নয়— ভালবাসার কথা বলে। আজ যাঁরা এর প্রতিদানে এত আঘাতে ভরিয়ে দিলেন, তাঁদের ধন্যবাদ।’’ স্বাভাবিক কারণেই বোঝা যায় এই পোষ্ট করার সময় চোখে জল ভরে উঠেছিল অদিতি মুন্সীর।