বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:আরজি কর হাসপাতালে বহিরাগতদের তাণ্ডব। ভেঙে দেওয়া হলো হাসপাতালের ভিতর প্রতিবাদীদের মঞ্চ। ভাঙচুর চালানো হলো হাসপাতালের ভিতরেও।
প্রথমে প্রাণভয়ে পিছু হঠতে বাধ্য হলেন জনা ২৫ পুলিশকর্মী। কয়েকজন জখম হয়েছেন। পরে র্যাফ গিয়ে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে।
বুধবার কলকাতা-সহ জেলায় জেলায় রাত দখলের ডাক দিয়ে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ আন্দোলন কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন মহিলারা। যাতে নারী, পুরুষ, তৃতীয় লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলেই অংশ নিয়েছিলেন। আরজি কর হাসপাতালের বাইরেও তেমন কর্মসূচি চলছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, আরজি করের বাইরে কর্মসূচি যখন শেষের দিকে তখন আচমকাই পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করতে থাকে বেশ কিছু যুবক। পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি শুরু হয়। এরপরই পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে, পুলিশ কিয়স্কে ভাঙচুর চালানো হয়।
আরজি কর কাণ্ডে ন্যায়বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত সকলে বহিরাগতদের বেরিয়ে যাওয়ার কথা বলার পরেই প্রতিবাদীদের মঞ্চে ভাঙচুর চালানো হয়। এরপরই লোহার রড নিয়ে দুষ্কৃতীরা ঢুকে পড়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। জরুরি বিভাগে ব্যাপক ভাঙচুর চলে। বেড, স্ট্যান্ড ফ্যান, কলের পাইপ ভাঙা হয়।
বহিরাগতদের তাণ্ডব এতটাই মারাত্মক আকার ধারণ করে যে, পুলিশকর্মী, নার্সদের প্রাণভয়ে পালিয়ে গিয়ে একটি ঘরে আশ্রয় নিতে দেখা যায়। ভাঙচুর করা হয় সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা। ছবি তুলতেও বারণ করা হয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামে র্যাফ।
পুলিশের গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। কারা এভাবে ঢুকে হামলা চালাল তা জানতে পারা যায়নি। জানা গিয়েছে, কিছুক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। পুলিশকে সংযম বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাত ১২টা ১০ মিনিট নাগাদ এই ঘটনা ঘটে বলে জানতে পারা গিয়েছে। বুধবারই সিবিআই আধিকারিকরা প্রথম আরজি কর হাসপাতালে গিয়েছিলেন তদন্তের কাজে। তাঁরা বেরিয়ে যাওয়ার সময়ও উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগান দেন প্রতিবাদীরা। এবার প্রতিবাদীদের মঞ্চ ও হাসপাতালে যেভাবে ভাঙচুর চালানো হলো তা নিশ্চিতভাবেই এই ইস্যুতে অন্য মাত্রা যোগ করল। দুষ্কতীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে পুলিশকে।
তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র ডা. শান্তনু সেন এই দুষ্কৃতী তাণ্ডবের নিন্দা করেছেন। তাঁর কথায়, যেখানে প্রতিবাদীদের আন্দোলনকে সমর্থন করা হচ্ছে সেখানে এমন ঘটনা অনভিপ্রেত। রাজনৈতিক দলগুলিকেও আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।