বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: হঠাৎ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তনর প্রসঙ্গ। স্বাভাবিক কারণেই নাগরিক মহলের প্রশ্ন – এখানে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ আসবে কেন! আর জি করে একটা মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। তার প্রতিবাদে বাংলা সোচ্চার।

এটা তো স্বাভাবিক। কিন্তু বেহালায় প্রাক-স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান থেকে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “বাংলাদেশের ঘটনা থেকে যদি ভাবেন এখানে ক্ষমতা দখল করবেন। শুনে রাখুন, আমি ক্ষমতার মায়া করি না। মানুষের কাজ করতে চাই।” কিন্তু তিনি হঠাৎ এই প্রসঙ্গ কেন টেনে আনলেন কেউ বুঝতে পারছেন না।

এটা ঠিক যে পুলিশের ও সরকারের ভূমিকা নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন সম্মানে এসেছে। কেন পুলিশ প্রথমেই বললো যে এটা আত্মহত্যা?কেন নানা অভিযোগে অভিযুক্ত ডাঃ সন্দীপ ঘোষকে পুরস্কার দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে পাঠানো হলো? এই প্রশ্নের উত্তর তো নাগরিক মহল চাইবে। আরজি কর কাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেন, “বলুন, কোন অ্যাকশনটা আমরা নিইনি? ১২ ঘণ্টার মধ্যে খুনিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশ ১৬৪ জনকে কাজে লাগিয়েছিল। একমাসের সিসি ফুটেজ পরীক্ষা করা হয়েছে। রবিবার পর্যন্ত সময় দিয়েছিলাম। তার আগেই সিবিআইয়ের হাতে মামলা তুলে দেওয়া হল। রবিবারের মধ্যে মামলার কিনারা হোক। আমরা ফাঁসি চাই।” এর পরেই তিনি টেনে আনেন ধনঞ্জয় প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়াই ধনঞ্জয়কে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। বিরোধীরা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী কী ভয় পেয়েছেন?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *