বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:প্রথম কথা হলো মহিলাদের ‘রাত দখল’- এই ধরনের আন্দোলনের উৎস কি? এই প্রসঙ্গেই জানা যাচ্ছে, ১৯৭৫ সালে আমেরিকার ফিলাডেলফিয়ায় রাতে বাড়ি ফেরার সময়ে এক গবেষক খুন হয়েছিলেন।
সেই ঘটনার পরেই ‘রিক্লেম দ্য নাইট’ আন্দোলন হয়েছিল। আর এবার আরজি কর কাণ্ডে সেই একই ডাক দিয়েছেন বাংলার মেয়েরা। যদিও তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ মনে করেন, এর পিছনে আছে সিপিএম। তিনি মঙ্গলবার বলেন, মনে রাখুন, রাত মহিলাদের দখলেই থাকে বাংলা। অসংখ্য মা, বোন বিভিন্ন পেশায় রাতভর কাজ করেন। অনেকে ভোররাত, মাঝরাতে কত দূর থেকে যাতায়াত করেন। বিচ্ছিন্ন খারাপ ঘটনা দিয়ে সার্বিক ভাবে বাংলাকে ছোট যারা করছে, তারা অরাজনীতির মোড়কে রাজনীতি করছে। ভোটে হারা অতৃপ্ত আত্মাগুলোর আবেগের অভিনয় চলছে। এদের মুখোশ নয়, মুখ দেখে বিচার করুন।’ কিন্তু এখন দলেই কোনঠাসা কুনাল।
আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় ঘোষণা করেছেন, বুধবারের কর্মসূচিতে তিনিও যোগ দেবেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, ‘আমিও প্রতিবাদে যোগ দেব। কেন না লক্ষ লক্ষ বাঙালির মতো আমিও এক জন মেয়ের বাবা, নাতনির দাদু। আমাদের এ বিষয়ে সরব হতে হবে। মেয়েদের বিরুদ্ধে হিংসা অনেক হয়েছে। চলুন সংঘবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ করতে হবে। যাই হোক না কেন।’ এদিকে ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডয়ের তৃণমূল কাউন্সিলর সোমা চৌধুরী এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লেখেন, ‘নারীদের সম্মান-প্রাণ বাঁচাতে দলবদ্ধ হন’। ফলে তৃণমূলের অন্দরে ‘প্রতিবাদী’ ও ‘নীরব দর্শক’ – এই দুটি শিবির স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।