বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: রবিবার বেলায় আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলেন টুম্পা কয়াল। একজনের পক্ষে এই নারকীয় ঘটনা ঘটানো সম্ভব নয়৷ রাজ্য সরকারের দিকে অভিযোগ ছুঁড়ে দিলেন কামদুনির প্রতিবাদী৷

আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ঘটনায় এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ সেই ব্যক্তিই এই কাজ করেছে বলে পুলিশের দাবি। তবে আন্দোলনকারীরা সবটা সত্য বলে মানছেন না। আরও লোক এই কাজের সঙ্গে জড়িত৷ তাদের আড়াল করার চেষ্টা চলছে বলে দাবি৷

এদিন হাসপাতালে যান টুম্পা। তিনিও একই অভিযোগ করতে থাকেন৷ ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন তিনি। কেন হাসপাতালের সব জায়গায় সিসিটিভি থাকবে না? সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার হাসপাতালের ভিতর ঘুরে বেড়াচ্ছে৷ একজন নিরাপত্তা রক্ষী ছিল না? তাকে কেউ আটকালো না? সিসিটিভি আগে কেন লাগানো হয়নি? প্রশ্ন তুলছেন টুম্পা৷ দুজন নিরাপত্তারক্ষীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ এটাও চোখে পট্টি পড়ানোর মতো কাজ, বলে খোঁচা টুম্পার।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিবিআই তদন্তের কথা বলেছেন। তার মানে সিআইডি এখানে ব্যর্থ। তীব্র কটাক্ষ টুম্পার। আর জি করের অধ্যক্ষের দিকেও অভিযোগের আঙুল তুলেছেন টুম্পা। একাধিক বার সরানোর পরেও এই অধ্যক্ষ এই হাসপাতালে এসেছেন দায়িত্ব নিয়ে। এবারেও তেমনই হয়েছে। হাসপাতালের সুপার কী করছিলেন? প্রশ্ন তোলা হয়েছে৷

হাসপাতালের প্রিন্সিপাল, সুপার, স্বাস্থ্যমন্ত্রী সকলেই জড়িত৷ রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। অধ্যক্ষকে হাসপাতাল থেকে বিতাড়িত করা উচিত। বার বার কেন তাকে এই হাসপাতালে ফিরিয়ে এনেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? প্রশ্ন তুলেছেন টুম্পা৷

একজন ব্যক্তি এই নারকীয় ঘটনা ঘটাতে পারে না। আরও একাধিক ব্যক্তি জড়িত আছে। দ্রুত তদন্ত করে অভিযুক্তদের সামনে আনার দাবি তুলেছেন টুম্পা কয়াল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *