বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়েছেন গতকাল সোমবার। আজ মঙ্গলবার নতুন বাংলাদেশ গঠনের পথে। কী পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে পড়শি দেশ?
শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর থেকেই উল্লাস দেখা গিয়েছে বাংলাদেশে। পরে সেই উল্লাস হিংসায় বদলে যায়। বাংলাদেশের বিভিন্ন অংশ থেকে উত্তেজনার খবর আসে। রক্তপাত, হিংসা, আগুন লাগানো থেকে একাধিক ঘটনা দেখা যায়৷
আজ মঙ্গলবার পরিস্থিতি কী হবে? বাংলাদেশ কি এবার শান্ত হবে? না কী অশান্তির আগুন আরও ছড়িয়ে পড়বে পড়শি দেশে? সেই প্রশ্ন জোরালো ভাবে দেখা দিয়েছে৷ আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে বাংলাদেশে কার্ফু সম্পূর্ণ শিথিল করা হয়েছে। সকাল ছটা থেকে এই কার্ফু তুলে নেওয়া হয়৷
ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে রাখা ছিল। সেই পরিষেবাও ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷ বাংলাদেশ এখন সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান গতকাল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন৷ তিনি দেশের পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ।
দেশের সাধারণ মানুষকে শান্ত থাকার অনুরোধ তিনি জানিয়েছিলেন৷ কিন্তু শেষ ১৫ ঘণ্টায় পরিস্থিতি কতটা শান্ত হল? কতটা নিয়ন্ত্রণে এল? তাই নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন আছে। বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবনে, শেখ হাসিনা ব্যক্তিগত বাসভবনে হামলা চালানো হয়৷ বহু জায়গায় আওয়ামি লিগের দফতর আগুনে ভস্মীভূত। বহু মানুষের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গিয়েছে। আওয়ামি লিগের নেতা, মন্ত্রীরাও ছাড় পাননি। তাদের অনেকের বাড়িতেই হামলা হয়েছে। মারধর করা হয়েছে।
আজ সকাল থেকে বাংলাদেশের পরিবেশ শান্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। জানানো হয়েছে, আজ থেকেই হাট – বাজার, দোকানপাট খুলবে। অফিস – আদালতও বসার কথা জানানো হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে সেই চিত্র কতটা ধরা পড়বে? বাংলাদেশের অন্তত ৪০ টির বেশি জায়গায় ঝামেলার খবর এসেছে৷ পরিস্থিতি কতটা নিয়ন্ত্রণে আসবে?
রাতভর বিভিন্ন জায়গায় ঝামেলা হয়েছে বলে খবর। বাংলাদেশে একদিনে ১৩৫ জন মারা গিয়েছেন বলে প্রাথমিক খবর। পুলিশও সেই হিংসার কবল থেকে ছাড় পায়নি। দেশের বিভিন্ন জায়গায় বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের মূর্তি ভাঙা হয়েছে। ছবিতে কালি মাখানো হয়েছে।