বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তাফা দিতে বাধ্য হয়েছেন। সেই সঙ্গে বাধ্য হয়েছেন দেশ ছাড়তেও। হাসিনার এই দুর্দিনে আবার পাশে দাঁড়িয়েছে সেই ভারতই। বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যার পরে হাসিনা স্বামী এবং সন্তানদের নিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

অনেকটা আত্মগোপন করেই থাকতেন দিল্লিতে। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট ঢাকায় নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারকে। দেশের বাইরে থাকায় বেঁছে গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। সেসময় বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমান সহ তাঁর পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছিল।

সেই ঘটনার পর আর দেশে ফিরতে পারেননি তিনি। আশ্রয় নিয়েছিলেন ভারতে। রাজধানী দিল্লির লাজপত নগর এলাকায় স্বামী সন্তান এবং বোনকে নিয়ে থাকতেন। এক কথায় পরিচয় গোপন করেই সেখানে থাকতেন তাঁরা। ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত দিল্লির লাজপত নগরে প্যান্ডারা রোডে দীর্ঘ ৬ বছর থেকেছেন তিনি।

১৯৭৫ সালে যখন মুজিবর রহমানকে হত্যা করা হয়েছিল বাংলাদেশে সেসময় জার্মানিতে তাঁর স্বামীর সঙ্গে পড়াশোনা করছিলেন হাসিনা। দেশে ফেরার উপায় ছিল না। বাধ্য হয়েই ভারতের কাছে আশ্রয় চেয়েছিলেন তিনি। সেসময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। এবং শেখ হাসিনাকে নিরাপত্তা দিয়ে ভারতে আশ্রয় দিয়েছিলেন তিনি।

সেসময় বাংলাদেশ দূতাবাসের এক ফোনেই শেখ হাসিনা তাঁর বোন রেহানা এবং হাসিনার স্বামীকে আশ্রয় দিয়েছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। কয়েক দিন আসে সেই ঘটনা নিয়ে স্মৃতি চারণ করেছিলেন তিনি। হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে বসার পর থেকেই ভারতের সঙ্গে অত্যন্ত সুসম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। হঠাৎ করে বাংলাদেশের এই পরিস্থিতি কোন পথে নিয়ে যাবে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক।

আবার ভারতের শরণে হাসিনা। কিন্তু এবার তিনি আর রাজনৈতিক আশ্রয় চাননি। লন্ডনে যেতে চেয়েছিলেন। ভারত তাঁর জন্য সেফ প্যাসেজ তৈরি করে দিয়েছে মাত্র। গাজিয়াবাদের হিন্ডন এয়ারবেসে রয়েছেন হাসিনা। সেখানে বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বাংলাদেসের বায়ুসেনার মালবাহী বিমানে বোন রেহানাকে নিয়ে পৌঁছন হাসিনা। পরিকল্পনা ছিল আজই তিনি লন্ডনে উড়ে যাবেন। কিন্তু ব্রিটিশ সরকার হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার আর্জি খারিজ করে দেন। ফলে ভারতেই কয়েকটা দিন থাকতে হচ্ছে তাঁকে। পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে সেটা কেউ জানেন না। ভারতেই কি শেষ পর্যন্ত থেকে যেতে হবে তাঁকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *