বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেও পালাবদলের বড় সম্ভাবনা। নাজমুল হাসান (পাপন)-এর পদত্যাগ স্রেফ সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করা হচ্ছে।
আজ সকালেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সদর দফতরে গিয়ে বিসিবিতে পরিবর্তনের দাবি তুললেন ক্রিকেট সংগঠকরা। তাঁদের সঙ্গ দিলেন প্রাক্তন অধিনায়করাও।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন হাসিনা সরকারের যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী হয়েছিলেন। বাংলাদেশের পালাবদলে তাঁকে বিসিবি থেকেও সরতে হবে, এটা স্পষ্ট। আজ সকালে ক্রিকেট সংগঠক পরিচয় দিয়ে কিছু ক্লাবকর্তা বিসিবিতে পালাবদলের ডাক দিয়েছেন।
বিসিবির সামনে কিছুক্ষণ অবস্থান চালানোর পর তাঁরা বিসিবির সভাক্ষে গিয়ে বসেন। ছিলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন অধিনায়ক মিনহাজুল আবেদিন, হাবিবুল বাশার। প্রথম আলোর প্রতিবদনে উল্লেখ, মিনহাজুল বলেছেন, বিসিবিতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা হোক। হাবিবুল বলেছেন, সুদিনের আশা করছি। ছিলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন।
ক্রিকেট সংগঠকদের দাবিস আওয়ামি লিগ সরকারের আমলে বিসিবিতে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দিতে হবে। অযোগ্যদের সরিয়ে যোগ্য সংগঠকদের আনতে হবে। মীরপুরের শের-এ-বাংলা স্টেডিয়ামে এই ক্রিকেট সংগঠকদের নিয়ে প্রতিবাদে নেতৃত্ব দেন বিসিবির প্রাক্তন যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাবু।
ক্রিকেটারদের সংগঠন কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার দেবব্রত পাল, পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন, লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ, প্রাইম দোলেশ্বরের যুগ্ম সম্পাদক মুস্তাক হোসেন, মহমেডানের কর্মকর্তা তারিকুল ইসলামরা বিসিবিতে পালাবদলের ডাক দেন। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই পাপনের বাসভবনেও হামলা চলেছে বলে জানা গিয়েছে।
রফিকুলের দাবি, ২০১২ সালের পর বিসিবিতে এসেছিলাম বিসিবির প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে কথা বলতে। তাঁকে পাইনি। আমরা চাই বিসিবির অযোগ্য সংগঠকদের সরিয়ে যোগ্য ক্রিকেট সংগঠকদের আনা হোক।
ফলে এই ডামাডোল পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ থেক মহিলা বিশ্বকাপ সরানোর পথেই সম্ভবত হাঁটতে হবে আইসিসিকে।