বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:মহিলা রেঞ্জারকে ‘পেটানো’র হুমকি দিয়ে বিতর্কে অখিল গিরি! ঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এরপরেই কারামন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অখিল গিরি। তবে এই ঘটনায় কোনও ভাবেই তিনি অনুতপ্ত নন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন।
এমনকি ওই মহিলা অফিসারের কাছে ক্ষমাও চাইবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক (Akhil Giri)। শনিবার দীঘার তাজপুরে বন দফতরের এক মহিলা অফিসারের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন অখিল গিরি। ওই আধিকারিককে প্রকাশ্যে পেটানোর হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি ট্রান্সফার করে দেওয়ারও হুমকি দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
শুধু তাই নয়, বন দফতরের একাধিক দুর্নীতি রাজ্য বিধানসভায় ফাঁস করে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন। যা নিয়ে রীতিমত অস্বস্তিতে পড়ে যায় শাসকদল এবং রাজ্য সরকার। কার্যত এরপরেই ড্যামেজ কন্ট্রোলের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় অখিল গিরি (Akhil Giri) যিনি একজন রাজ্যের মন্ত্রী তার এরূপ আচরণ কোনভাবেই দলের কাছে কাম্য নয়। এমনকি এই ঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই অখিল গিরিকে ওই মহিলা আধিকারিকের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।
আর এহেন নির্দেশের পরের কারা মন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন অখিল গিরি। তার দাবি, দল যে নির্দেশ দিয়েছে, সেই নির্দেশমতো কাজ করব। একজন অনুগত সৈনিক আমি। যেমন ভাবে মানুষের পাশে আছি, আগামিদিনেও তাই থাকব। মন্তব্য বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতার। তাঁর কথায়, আজকে মেইলে পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দেবো। আগামীকাল সোমবার লিখিত আকারে পদত্যাগ পত্র জমা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
তাঁর কথায়, মন্ত্রিত্ব ছাড়া কোনও ব্যাপার নয়। হতাশ কিংবা ভেঙে পড়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। তবে বারবার কেন তাঁর মন্তব্য ঘিরে এত বিতর্ক? এই প্রসঙ্গে অখিল গিরি জানিয়েছেন, উত্তেজিত হয়ে এমন মন্তব্য করে বসেছি। মন্ত্রী হিসাবে যা বলেছি, তাতে দলের ভাবমূর্তি খারাপ হয়েছে। তাই দল আমাকে সরে যেতে বলেছে।
তবে কারও কাছে আমি ক্ষমা চাইব না, স্পষ্ট বার্তা অখিল গিরির (Akhil Giri)। তবে দল ঘটনা কি ঘটেছে তা জানতে চাইনি। শুধু সুব্রত বক্সি ফোনে জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী সারাদিন টিভিতে ঘটনা দেখেছেন। আপনাকে ইস্তফা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।