বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: আসলে পাতাল ভ্রমণ বলতে আমরা বোঝাতে চাইছি, মাটি, বরফ বা পাহাড়ের মধ্য দিয়ে সুরঙ্গ কেটে মানুষের যাত্রা। সেই অর্থে বহুকাল আগেই ভারতে পাতাল রেল যাত্রা শুরু করেছে। তবে আজকে আমাদের উপস্থাপনা বিশ্বের আশ্চর্য কয়েকটি এমন টানেল যাত্রা – যা বিজ্ঞানের আশ্চর্য আবিষ্কার।
১) চ্যানেল টানেল, যুক্তরাজ্য/ফ্রান্স – যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সকে সংযুক্তকারী ৫০.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রেল টানেল এটি। সমুদ্রের নিচ দিয়ে দেশ ২টির মধ্যে সংযোগ স্থাপনের পরিকল্পনা বহু বছর আগে করা হলেও তা বাস্তবায়িত হয় ১৯৯৪ সালে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭৫ মিটার নিচ দিয়ে এটি নির্মাণ করা হয়েছে।
২) টানেলে দেশ জাপান – জাপান অজস্র ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে গঠিত। এই দ্বীপগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য বহু বছর আগে থেকেই জাপানে তৈরী হয়েছে অজস্র টানেল। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি টানেল বিজ্ঞানের আশ্চর্য সৃষ্টি। (১) টোকিও বে অ্যাকুয়া-লাইন – এই টানেলটির সামগ্রিক দৈর্ঘ্য ২৩.৭ কিলোমিটার, যার মধ্যে ৪.৪ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সেতু এবং সমুদ্রের নিচ দিয়ে ৯.৬ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেল রয়েছে। এটি বিশ্বের চতুর্থ দীর্ঘতম পানির নিচের টানেল।(২) সিইকেন টানেল – সিইকেন টানেলটি প্রযুক্তি বিদ্যার একটি অনন্য নিদর্শন হিসেবে উল্লেখযোগ্য। পুরো টানেলটির দৈর্ঘ্য ৫৩.৮৫ কিলোমিটার (৩৩.৪৬ মাইল)। এটি জাপানের বৃহত্তম দ্বীপ হোনশুকে উত্তরের হোক্কাইডোর সঙ্গে সংযুক্ত করে।
৩) সুইজারল্যান্ডয়ের টানেল – বিশ্বের সন্যতম সৌন্দর্যের দেশ সুইজারল্যান্ড। সেখানে আছে এমন দুটি টানেল, যাকে বলা হয় বিজ্ঞানের আশ্চর্য সৃষ্টি। (১) গথার্ড বেজ টানেল – সুইজারল্যান্ডের আল্পস পর্বতমালার ভেতর দিয়ে নির্মিত ৫৭ কিলোমিটার (৩৫.৫ মাইল) দীর্ঘ এই টানেলটি বিশ্বের দীর্ঘতম ও গভীরতম রেল টানেল। ২০১৬ সালে এই এই রেল টানেলটি চালু করা হয়েছে। অনন্য এই স্থাপনাটিকে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অনন্য সৃষ্টি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।(২) ইয়ুংফাউ রেলওয়ে – বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে নির্মিত ইয়ুংফাউ রেলওয়েকে প্রকৌশলের অন্যতম বড় বিস্ময় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই রেলওয়ে সুইস আল্পসের কয়েকটি দৃষ্টিনন্দন পর্বতের মধ্য দিয়ে গেছে।