বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: সোমবার প্রশাসনিক বৈঠকে মন্ত্রী সুজিত বসু সহ বিধাননগর পৌর নিগমের বিরুদ্ধে প্রবল উস্মা প্রকাশ করুন মুখ্যমন্ত্রী। আর এবার সল্টলেকে ঘুরে সেই ছবি স্পষ্ট হলো।

এবার ক্ষোভ প্রকাশ্যে চলে আসছে বাসিন্দাদের। বাসিন্দাদের একাংশই বলছেন, “মুখ্যমন্ত্রী তো ঠিক‌ই বলেছেন। পরিষেবা কোথায়? শুধু পকেট ভরছেন কাউন্সিলররা।” সল্টলেকের বাসিন্দাদের একাংশ বলছেন, ইট-বালি-চুন-সুরকি দখল করে রেখেছে নাগরিকের হাঁটাচলার রাস্তা। নিকাশির লাইফলাইন বাগজোলা খাল‌ও দখল করে তৈরি হয়েছে কংক্রিটের নির্মাণ। বেআইনি নির্মাণ রাজারহাট-গোপালপুরে সহজলভ্য বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। স্থানীয় বাসিন্দাদের এক জন বললেন, “এই পরিস্থিতিতে কাউন্সিলরদের প্রতি ভোটারদের আর্জি, আমাদের দিকেও একটু দেখুন প্লিজ!” এক বাসিন্দা বাজার করতে এসেছেন, তিনি বললেন, “বলার অনেক কিছুই রয়েছে। কিন্তু আমাকে এখানে বাস করতে হবে। কী বলব বলুন তো, মুখ্যমন্ত্রীর অনেক ক্ষমতা। কিন্তু আমরা তো সাধারণ মানুষ। আমাকে এখানে বাস করতে হবে। ” এভাবেই একে একে নাম প্রকাশ না করে ক্ষোভ উগড়ে দেন।

১০ নম্বরের একজন প্রবীণ মানুষ বলেন, রাস্তাঘাট পরিষ্কার নয়। আমি যেখানে থাকি, সেখানে তো প্রচুর জল জমে। নোংরা পরিষ্কার রোজ হয় না। বিধাননগর কর্পোরেশন হওয়ার পর উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি।” আরেক বয়স্ক ব্যক্তি বলেন, “রাস্তাঘাট চূড়ান্ত খারাপ। হাতিয়াড়া দিকে রাস্তা মারাত্মক খারাপ। একটা খাল আছে, পরিষ্কার করলে করল, না করলে ওভাবেই থাকে। বর্ষা হলে ডুবে যায়। কাউন্সিলরের দেখা কেউ পান না। নির্বাচনের সময়ে সব পায়। এই যে লোকসভা নির্বাচন হল, কাউন্সিলর বাড়িতে এলেন। বললাম, ডেঙ্গু হচ্ছে, কিছু ব্যবস্থা করুন। চুন ছড়িয়ে গেল পরেরদিন। কিন্তু স্থায়ী কোনও সমাধান নেই।”আরেক বাসিন্দা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী তো ঠিক‌ই বলেছেন। পরিষেবা কোথায়? শুধু পকেট ভরছেন কাউন্সিলররা।” এখন দেখার এবার পৌরসভা নতুন কোনো পদক্ষেপ নেয় কিনা!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *