বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:হচ্ছে না ভিড়, ক্রমশ বাড়ছে লোকসানের বোঝা। এই অবস্থায় পরীক্ষামূলক মেট্রো পরিষেবা ২০ মিনিট এগিয়ে দেওয়া হল। রাত ১১ টার পরিবর্তে ১০ টা ৪০ মিনিটে ছাড়বে মেট্রো।

আগামী সোমবার অর্থাৎ চলতি মাসের ২৪ তারিখ থেকে পরীক্ষামূলক ভাবে ওই সময় মেট্রো চালানো হবে। এমনটাই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাল কলকাতা মেট্রো। যাত্রীদের সুবিধার কথা ভেবেই এহেন পদক্ষেপ বলে দাবি মেট্রো কতৃপক্ষের।

রাতের দিকে কেন মেট্রো মিলবে না। এমনই দাবি ওঠে যাত্রীদের একাংশের মধ্যে। আর সেই দাবি মেনে ব্লু-লাইনে পরীক্ষামূলক ভাবে বিশেষ রাত্রিকালীন মেট্রো পরিষেবা (Kolkata Metro) চালাচ্ছে। আপ এবং ডাউন উভয় দিকের এই পরিষেবা সোম থেকে শুক্র রাত ১১ টায় কবি সুভাষ এবং দমদম স্টেশন থেকেম মিলছে। কিন্তু যে আশা নিয়ে এই পরিষেবা পরীক্ষামূলক ভাবে শুরু করা হয় তাতে লাভের জায়গায় বাড়ছে ক্ষতি!

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মেট্রো জানাচ্ছে, রাতের মেট্রো প্রচুর সংখ্যক মানুষের চাহিদা পূরণ করবে। কিন্তু যাত্রীদের তেমন মন পাওয়া যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে ব্যাখ্যাও দিয়েছে কলকাতা মেট্রো। কতৃপক্ষের দাবি, দমদম এবং কবি সুভাষের মধ্যে চলছে এমন মেট্রোয় রাত ১১ টার প্রতিটি ট্রেনে গড়ে মাত্র ৩০০ জন যাত্রী হচ্ছে ।

এই পরিষেবাগুলি চালাতে মেট্রো রেলের প্রচুর খরচ হচ্ছে (চালানোর খরচ হিসাবে প্রায় ২.৭ লক্ষ টাকা এবং অন্যান্য খরচ হিসাবে ৫০ হাজার টাকা)। কিন্তু বিনিময়ে এই দুটি ট্রেন থেকে আয় হচ্ছে খুবই কম (গড়ে মাত্র ৬ হাজার টাকা)। টিকিটের জন্য একাধিক স্টেশনে কাউন্টার খোলা হয়। সেখানেও দেখা যায় গড়ে মাত্র ১ বা ২ টি টোকেন বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ টোকেন বিক্রির হারও খুবই কম।

এই অবস্থায় নয়া সিদ্ধান্ত মেট্রোর। মেট্রো রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আগামী ২৪/০৬/২০২৪ অর্থাৎ সোমবার থেকে এই পরীক্ষামূলক রাত্রিকালীন পরিষেবার সময় ২০ মিনিট এগিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই মতো ব্লু লাইনে এই পরীক্ষামূলক রাত্রিকালীন পরিষেবাগুলি কবি সুভাষ এবং দমদম থেকে রাত ১০.৪০ টায় ছাড়বে।

এই পরিষেবাগুলি সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে। তবে কোনও স্টেশনে টোকেন, স্মার্ট কার্ড ইত্যাদি বিক্রির জন্য কোনও টিকিট কাউন্টার খোলা থাকবে না বলে জানানো হয়েছে। যাত্রীদের UPI পেমেন্ট মোড ব্যবহার করে সমস্ত স্টেশনে বসানো ASCRM মেশিন থেকে টোকেন কেনার জন্য বলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You missed