বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবনের বাইরে মঞ্চে পেতে ধর্না কর্মসূচি করতে পারেন। সেক্ষেত্রে পুলিশ কোনও বাধা দেয় না। কিন্তু বিজেপি কর্মসূচি করলে পুলিশ বাধা দেয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় করতে পারলে কেন বিজেপি পারবে না? সেই প্রশ্ন তুললেন রাহুল সিনহা।
বুধবার বিজেপির ঘরছাড়াদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন রাহুল সিনহা। তিনি বলেন, ” অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পাঁচ দিন ধরে রাজভবনের বাইরে ধর্না কর্মসূচি চালাতে পারেন। তখন ১৪৪ ধারা বিঘ্নিত হয়নি। তখন সেখানকার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়নি। অথচ বিজেপির পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ করতে চাইলেই, তখন পুলিশ রে রে করে তেড়ে উঠছে।”
তিনি আরও বলেন, ” পুলিশের রোল আপনারা দেখলেন না যারা নির্যাতিত, যারা অত্যারিত, তাদের রাজ্যপাল দেখা করার জন্য সময় দিয়েছেন। তাদের পর্যন্ত ঢুকতে দেওয়া হল না। এই একপেশে ব্যবস্থা কোন রাজ্যে আছে? এখানে পুলিশ – প্রশাসন সম্পূর্ণ দলদাসে পরিণত হয়েছে। সেই কারণেই পুলিশের থেকে এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করা যায় না।”
“গণতন্ত্রে সবার সমান অধিকার। যদি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবনের সামনে ধর্ণা দিতে পারেন। তাহলে পুলিশকেও আমাদের অনুমতি দিতে হবে।” দাবি করেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসূচির অনুমতি দেয়নি পুলিশ৷ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। আজ শুনানিও হয়েছে৷
ঘরছাড়াদের নিয়ে রাজভবনের বাইরে ধর্ণা কর্মসূচি করতে চেয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। আজ সেই কর্মসূচির শুরুর দিন ছিল। এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই মামলা ওঠে। এক রাজনৈতিক দল রাজভবনের সামনে কর্মসূচি করেছে। সেজন্য শুভেন্দু অধিকারীকেও একই জায়গায় কর্মসূচি পালন করতে হবে? প্রশ্ন রেখেছেন বিচারপতি সিনহা। রাহুল সিনহা জানিয়েছেন, আদালতের উপর সম্পূর্ণ আস্থা আছে। সঠিক বিচার আদালত দেবে।
কলকাতার রাজ্য বিজেপি কার্যালয়ের পাশে মাহেশ্বরী ভবনে গিয়েছিলেন রাহুল সিনহা। বিজেপির ঘরছাড়ারা সেখানে আছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলেন রাহুল। সকলে যাতে সুস্থভাবে তাদের বাড়ি ফিরতে পারেন। সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আশা জোগালেন রাহুল।