বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:ফের রাজ্যে ইডির তল্লাশি। দিল্লির সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত একটি মামলায় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধকারিকরা। তল্লাশি চলছে হাওড়া এবং বেলঘরিয়ায়। বেশ কিছু নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই এই অভিযান চলছে বলে খবর। গোটা এলাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী জওয়ানরা ঘিরে ফেলেন। যা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

 

দিল্লির সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত একটি মামলার তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। কয়েকশ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। সেই সূত্র ধরেই হাওড়ার সালকিয়ার ব্যবসায়ী সুরয দুবে এবং বেলঘরিয়ায় সফটওয়ার কোম্পানির কর্মী রমেশ প্রসাদের খোঁজ পান আধিকারিকরা। এরপরেই আজ বৃহস্পতিবার সকালে দফতর থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা বের হন।

কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে পৌঁছে যান বেলঘরিয়ার রমেশ প্রসাদের ফ্ল্যাটে। আরেকটি টিম (Enforcement Directorate) যায় সালকিয়ায় ব্যবসায়ী সুরয দুবের বাড়িতে। যদিও পরিবারের দাবি, ওই ব্যবসায়ী বর্তমানে যদিও গুজরাতে আছেন। ফলে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে ব্যবসায়ীর ব্যবহৃত বিভিন্ন ডিজিটাল ডিভাইস এবং নথি খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা।

শুধু তাই নয়, ব্যবসায়ী সুরয দুবের ভাইয়ের বিরুদ্ধেই মূলতঃ অভিযোগ। অনলাইনে ফোনের মাধ্যমে সার্ভার ক্রাইম, আর্থিক তছরুপ, লরি কারবারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অভিযুক্ত। প্লাস্টিকের দানার ব্যবসাও আছে এদের। এর পাশাপাশি লিলুয়ার চকপাড়া তেঁতুলতলায় পেশায় গাড়িচালক বিজয় সাউ এর ফ্ল্যাটেও আজ তল্লাশি চলছে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে সফটওয়ার কোম্পানির কর্মী রমেশ প্রসাদের ফ্ল্যাটেও চলছে তল্লাশি। একই সঙ্গে সমস্ত নথিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি, রমেশ প্রসাদ গত ৬ মাস আগে সেখানে ফ্ল্যাট কিনে ছিলেন। তেমন এলাকার মানুষের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ ছিল না বলেও দাবি স্থানীয় মানুষদের। জানা যাচ্ছে, প্রায় কয়েক ঘণ্টা হয়ে গিয়েছে দু’জায়গাতেই তল্লাশি চালাচ্ছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) আধিকারিকরা।

বলে রাখা প্রয়োজন, বাংলায় কয়লা থেকে গরু, নিয়োগ দুর্নীতি সহ একাধিক ‘হাই প্রোফাইল’ মামলার তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। ইতিমধ্যে এই সমস্ত মামলায় একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করেছে। এবার দিল্লির সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত মামলাতেও নাম জড়াল বাংলার। ইডির আধিকারিকদের দাবি, এই দুর্নীতির তদন্তে বাংলায় একাধিকের নাম সামনে এসেছে। সেই মতো তদন্ত চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *