বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: ফের এক রেল দুর্ঘটনা, ফের মৃত্যু। গত বছরে ওড়িশার বালাসোরে ২৯৬ জনের মৃত্যুর পরে এবার রেলের তরফে এখনও পর্যন্ত আটজনের মৃত্যুর দাবি করা হয়েছে। তবে সংখ্যাটা যাই হোক না কেন, সব মৃত্যুতেই পরিজনহারা হন পরিবারের অন্যরা।
সোমবার সকাল নটার কিছু আগে নিউ জলপাইগুড়ি ছাড়ার পরে দাঁড়িয়ে পড়া কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে ধাক্কা মারে মালগাড়ি। এর অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনের দুটি বগি একেবারে দুমড়ে-মুচড়ে যায় আর আরেকটি উঠে যায় মালগাড়ির ইঞ্জিনের ওপরে।
এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত রেলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছে প্রায় ৫০ জন। এই দুর্ঘটনায় রেলের তরফে মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করা হয়েছে। গুরুতর আহতদের ২.৫ লক্ষ টাকা এবং স্বল্প আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া কথা বলা হয়েছে।
কিন্তু রেল দুর্ঘটনায় কোনও যাত্রী কিংবা রেলকর্মীর মৃত্যু মূল্য দিয়ে নির্ধারণ করা যায় না। এই সময় বিমা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া পরিবারগুলোর কাছে বড় ধরনের সাহায্য করতে পারে। রেলের টিকিট বুক করার সময় একটি মাত্র টিকেই রেলে ভ্রমণের দুর্ঘটনাগ্রস্ত হলে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমার সাহায্য পেতে পারেন।
অনেকেই জানেন আবার আনেকেই জানেন না ট্রেনে ভ্রমণের সময় বিমার ব্যবস্থা রয়েছে। অনলাইনে টিকিট বুক করার সময় যাত্রীরা আইআরসিটিসি থেকে এই বিমার বিকল্প পেয়ে থাকেন। মাত্র ৩৫ পয়সায় অতিরিক্ত দিয়ে ট্রেনে ভ্রমণের সময় বিমা পেতে পারেন। অনলাইনে টিকিট বুক করার সময় যাত্রীকে শুধু বিমার বিকল্পে টিক দিতে হবে।
এক্ষেত্রে টিকিট বুকিং শেষে ইনসিওরেন্স-এর অপশন থাকে। সেখানে টিক দিতে হবে। এই টিক দিলে ইনসিওরেন্স নেওয়ার পরে যদি ট্রেন দুর্ঘটনা হয়, তাহলে যাত্রীরা এর সুবিধা পাবেন। এই বিমার সুবিধা কেবল অনলাইনে টিকিট বুকিংয়ের সময় পাওয়া যায়। টিকিট বুকিংয়ের সঙ্গে সঙ্গেই বিমার বিবরণ সঙ্গে যুক্ত থাকা ইমেল এবং মোবাইলে চলে যায়।
ট্রেন দুর্ঘটনার চার মাসের মধ্যে ওই যাত্রী কিংবা তাঁর পরিবারের সদস্যরা বিমার জন্য দাবি করতে পারেন। এই দাবি করতে গেলে প্রয়োজনীয় কিছু নথিপত্রের প্রয়োজন। ট্রেন দুর্ঘটনায় কোনও যাত্রী মারা গেলে কিংবা সম্পূর্ণ অক্ষম হয়ে গেলে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দাবি করা যায়। যেখানে স্থায়ীভাবে অক্ষম যাত্রী ৭.৫ লক্ষ টাকা এবং আহত যাত্রী দুই লক্ষ টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন।