বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:নিজের জায়গাা নিশ্চিত করতে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পা ছুঁয়েছেন। এমনটাই দাবি রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রশান্ত কিশোরের। ভাগলপুরে জন সুরাজ যাত্রায় প্রচারের সময় এই মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি (প্রশান্ত কিশোর) আগে নীতীশ কুমারের সঙ্গে কাজ করলেও, এখন সমালোচনা করছেন, এই প্রশ্নের জবাবে প্রশান্তি কিশোর বলেছেন, আগে তিনি ভিন্ন মানুষ ছিলেন। নিজের বিবেক তখনও তিনি বিক্রি করেননি।
প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, একটি রাজ্যের নেতা রাজ্যবাসীর কাছে গর্বের। কিন্তু নীতীশ কুমার প্রধানমন্ত্রী মোদীর পা ছুঁয়ে বিহারবাসীকে লজ্জা দিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেছেন প্রশান্ত কিশোর। লোকসভা নির্বাচনে বিহার থেকে ১৬ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১২ টি আসন দখল করে এনডিএ জোটে তৃতীয় বৃহত্তম শরিক এখন জেডিইউ।
প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, অনেকেই বলছেন, এবার প্রধানমন্ত্রী মোদীর ক্ষমতায় ফিরে আসার পিছনে নীতীস কুমারের বড় ভূমিকা রয়েছে। বিকের প্রশ্ন, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে তার অবস্থানকে কাজে লাগাচ্ছেন? তিনি বলেছেন, রাজ্যের সুবিধা নিশ্চিত করতে নীতীশ কুমার তাঁর প্রভাব খাটাচ্ছেন না।
তিনি বলেছেন, কয়েকদিন আগে দেশবাসী দেখেছেন, সংবাদ মাধ্যমের লোকের বলছেন, সরকারের কমান্ড রয়েছে নীতীশ কুমারের হাতে। নীতীশ কুমার না চাইলে সরকার গঠন হবে না। নীতীশ কুমারের হাতে কত ক্ষমতা! কিন্তু বাস্তবতা কী ছিল তা শুধু বিহারবাসী নয়, দেশবাসী দেখেছেন।
প্রশান্ত কিশোরের দাবি, ২০২৫ সালের পরেই বিজেপির সমর্থন নিয়ে তিনি ক্ষমতায় থাকা নিশ্চিত করতেই প্রধানমন্ত্রীর পা স্পর্শ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রশান্ত কিশোর। সেখানে নীতীশ কুমার বিহারের ছেলেমেয়েদের চাকরির কথা বলেননি, বিহারে চিনির কাারখানা খোলার কথাও বলেননি। নীতীশ কুমার বিহারের জন্য বিশেষ রাজ্যের মর্যাদাও আনতে পারেননি।
নীতীশ কুমারকে নিশানা করে প্রশাান্ত কিশোর বলেছেন, যিনি তেরো কোটি মানুষের গর্ব, তিনিই কিনা সারা দেশের সামনে মাথা নত করছেন। মুখ্যমন্ত্রী থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রী পা স্পর্শ করছেন।
প্রসঙ্গত প্রশান্ত কিশোর ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদীর প্রচারাভিযান পরিচালনা করেছিল। তারপর তিনি জেডিইউ-এর জাতীয় সহ-সভাপতিও ছিলেন। পরবর্তী সময়ে ২০২১ -এ ভোট কুশলীর দায়িত্ব ছাড়ার আগে পর্যন্ত তিনি অন্ধ্রপ্রদেশের জগন্মোহন রেড্ডি, দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে কাজ করেছেন। ২০২২-এর অক্টোবরে তিনি জন সুরাজ যাত্রা শুরু করেন বিহারের গ্রামে। এই বছরের সেপ্টম্বরে তিনি সেই যাত্রা শেষ করবেন এবং ২ অক্টোবর জন সুরাজ পার্টির যাত্রা শুরু করবেন।