বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে বিভিন্ন স্তরের আধিকারিক ও মন্ত্রীদের নিয়ে প্রশাসনিক মিটিং করেন। সেই মিটিংয়ে তিনি যেমন কোনো কোনো দপ্তরের কাজের প্রশংসা করেন তেমনই বেশ কিছু দপ্তরের কাজের আগ্রগতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সূত্রের খবর, শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক তৃণমূলের অন্যতম বর্ষীয়ান নেতা। দীর্ঘদিন ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গী হয়ে কাজ করছেন তিনি। সেই শ্রমমন্ত্রীর কাজে খুশি নন মমতা। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর সেই অসন্তোষই প্রকাশ পেয়েছে। এরপরই শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটককে আলাদা করে দেখা করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বাভাবিক কারণেই প্রশ্ন উঠেছে, আলাদা করে ডাকা কেন?
এছাড়াও সমবায় দপ্তর নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যথেষ্ট উস্মা প্রকাশ করেন। রাজ্যের সমবায় দফতরের সচিব কৃষ্ণা গুপ্তার কাজেও ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। কৃষ্ণা গুপ্তার বারবার দিল্লি যাওয়াকে ভাল চোখে দেখেননি তিনি। তবে রাজ্যের অন্য দুই অফিসারের কাজের প্রশংসা করেছেন মমতা। তাঁদের মধ্যে রাজ্য পুলিশের ডিজি বিবেক কুমার ও অন্যজন অতিরিক্ত মুখ্যসচিব সুব্রত গুপ্তা। কৃষ্ণা গুপ্তা বার বার করে দিল্লি যাওয়ায় সংশয় প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে শনিবার রাজনৈতিক বিশ্লেষণ করতে গিয়েও মলয় ঘটকের ভূমিকা নিয়ে মমতা প্রশ্ন তুলেছিলেন বলে সূত্রের খবর। আসানসোলের ভোটের ক্ষেত্রে মলয় কী ভূমিকা নিয়েছিলেন, তা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে। উল্লেখ্য, রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটককে কেন্দ্রীয় সংস্থার আতস কাচের নীচে আসতে হয়েছে বারবার। তাহলে কি মলয় ঘটকের সঙ্গে বিজেপির কোনো গোপন চুক্তি হয়েছে? এমন প্রশ্ন উঠেছে নাগরিক মহলে।