বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:ষষ্ঠ দফার ভোট শেষ এবার সপ্তম দফা অর্থাৎ শেষ দফার প্রস্তুতি তুঙ্গে। কলকাতা সহ দুই ২৪ পরগনার লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে ভোট। কলকাতায় এখন চলছে জোর কদমে প্রচার। রবিবার সকালে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে প্রচার চালাতে গিয়েছিলেন কলকাতা দক্ষিণের সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম।
কিন্তু পুলিশ তাঁকে আটকে দেয়। হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে ১৪৪ ধারা জারি আছে তাই প্রচার করা যাবে না বলে জানায় পুলিশ। এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তুমুল বচসা বাধে সিপিএম নেত্রী মীনাক্ষীর। ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। এই নিয়ে তুমুল অশান্তি তৈরি হয়েছে সেখানে।
আগামী ১ জুন রাজ্যে সপ্তম দফার নির্বাচন। কলকাতা এবং দুই ২৪ পরগনার একাধিক হেভিওয়েট কেন্দ্রে হবে ভোট গ্রহণ। তার প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। রাজ্যের ষষ্ঠদফার ভোটগ্রহণ মোটের উপরে শান্তিপূর্ণ হয়েছে। তেমন কোনও হানাহানির ঘটনা ঘটেনি। কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ধটেছে মাত্র। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। একাধিক জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরব দর্শকের ভূমিকা নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
ষষ্ঠদফায় রাজ্যের একাধিক হেভিওয়েট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হয়েছে। একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থী ছিলেন। অভিজিৎ গাঙ্গুলি থেকে শুরু করে দেব-হিরণ-অগ্নিমিত্রা পাল-জুন মালিয়া-সৌমিত্র খাঁ-সুজাতা মণ্ডল সহ একাধিক প্রার্থী ছিলেন। মেদিনীপুরের একাধিক জায়গায় অশান্তির খবর পাওয়া গেলেও বাকি কেন্দ্র গুলিতে তেমন কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি।
ষষ্ঠ দফার ভোট শেষ হতেই সপ্তম দফার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। বিকেলের পর দুর্যোগের ঘনঘটা দেখা দেবে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় সেকারণে রবিবার সকাল থেকেই প্রচারের পারদ চড়িয়েছে সব রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা। সকাল সকাল কালীঘাটে প্রচারে বেরিয়ে ছিলেন সিপিএম প্রার্থী সায়রা হালিম। কিন্তু পুলিশ তাঁকে আটকে দেয় হরিশ চ্যাটার্জি রোডে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবন থাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে জানায়।
কিন্তু সিপিএমের কর্মী সমর্থকরা দাবি করেন লোকসভা ভোটের প্রচার করবেন প্রার্থী ১৪৪ ধারা কেন জারির অজুহাত দেখাচ্ছে পুলিশ। হরিশ চ্যাটার্জি রোডে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও আরও অনেক বাসিন্দা থাকেন। তাঁরাও ১ তারিখ ভোট দেবেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলার অধিকার সিপিএম প্রার্থীর রয়েছে। তাহলে কেন তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এই নিয়ে সিপিএম তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন মীনাক্ষীরা। যার জেরে চরম উত্তেজনা ছডায় এলাকায়।