বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:দক্ষিণবঙ্গে ভোট শুরু হতেই বদলে গেল ছবি! অবাধ হিংসার সাক্ষী থাকল বাংলার মানুষ। সন্ত্রাসের আবহে ভাঙচুর হল দিলীপ ঘোষের কনভয়। এমনকি রক্তাত্ব হতে হল তাঁর নিরাপত্তার সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই জওয়ানকেও। এর সঙ্গে বুথ জ্যাম-ছাপ্পা তো রয়েছেই।
আর এই ঘটনার পরেই আরও সতর্ক নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করল কমিশন। আগামী পঞ্চম দফা থেকেই প্রস্তাবিত বাহিনীর থেকেও অতিরিক্ত আরও বাহিনীকে মোতায়েন করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ঝাড়গ্রাম-জঙ্গলমহলের নির্বাচনে বিশেষ নজর দিতে চলেছে কমিশন।
বলে রাখ প্রয়োজন, ৯২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে বাংলায় নির্বাচন করতে চেয়েছিল কমিশন। সেই মতো প্রস্তুতিও নিয়েছিল। কিন্তু ষষ্ঠ এবং সপ্তম দফাতে ৯২০ কোম্পানিরও অতিরিক্ত বাহিনী থাকবে বলে খবর। যা খবর, আগামী পঞ্চম দফায় ৭৬২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। আগামী ২০ তারিখ পঞ্চম দফায় ভোট (Lok Sabha Election 2024) হবে আরামবাগ, বনগাঁ, ব্যারাকপুর, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, শ্রীরামপুর এবং হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে।
এরপর ষষ্ঠ দফায় ১,০২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নির্বাচন কমিশন মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ষষ্ঠ দফায় বাংলার ৮ আসনে ভোট হবে। নির্বাচন হবে বাঁকুড়া, তমলুক, কাঁথি, ঘাটাল ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, পুরুলিয়া এবং বিষ্ণুপুর লোকসভা আসনে। শেষ এবং সপ্তম দফায় সেই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে জানা গিয়েছে। অর্থাৎ আগামী তিন দফায় নজিরবিহীন নিরাপত্তায় ভোট করাতে চায় কমিশন।
বলে রাখা প্রয়োজন, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে নির্বাচন কমিশন সবথেকে বেশি বাহিনীকে মোতায়েন করেছিল। ছিল ১০৮০ কোম্পানি বাহিনী। এবার সেই সংখ্যাটাও ছাড়িয়ে যাবে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। অন্যদিকে ঝাড়গ্রাম-জঙ্গলমহলের নির্বাচনের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকছে। যেমন ঝাড়গ্রামে প্রতি বুথে আটজন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। নজরদারিতেও জোর দেওয়া হচ্ছে। মূলত ওই সমস্ত এলাকায় আগে মাওবাদী হিংসার ঘটনা ঘটেছে। আর সেদিকে তাকিয়েই এহেন পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের।