বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই রাজ্যে চতুর্থ দফার নির্বাচন। ভোট হবে বোলপুর, বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান, দুর্গাপুর, আসানসোল এবং বীরভূম লোকসভা আসনে। আর তার আগে বেশ কয়েকটি থানার আইসিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে কমিশনের শরণে আলিমুদ্দিনের ম্যানেজাররা (Cpim)।
একই সঙ্গে রাজ্যজুড়ে অস্ত্র এবং বোমা উদ্ধার সহ একাধিক অভিযোগে সরব তাঁরা। শমীক লাহিড়ী নেতৃত্বে তিনজনের প্রতিনিধি দল মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (Election Commission of India) আরিজ আফতাবের সঙ্গে দেখা করেন। যার মধ্যে ছিলেন রবিন দেব এবং কল্লোল মজুমদার। তাঁদের দাবি, নদিয়া জেলা চাপরা থানার আইসিকে সরাতে হবে। একই সঙ্গে আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেট অন্তর্ভুক্ত থানার আইসিদেরকেও সরানোর দাবি জানান। এই সমস্ত পুলিশ আধিকারিকরা তৃণমূলের হয়ে কাজ করছেন বলে অভিযোগ বাম নেতৃত্বের।
শুধু তাই নয়, বীরভূমের নানুরের থানার আইসি আমরা বদলি করার দাবি জানিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সিপিআইএম নেতা শমীক লাহিড়ী। তাঁর দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচন লুট করেছে এই আধিকারিক দের নিয়ে। এখন পর্যন্ত যাদের বদলি করা হয়েছে তাদের বিকল্প এখনো নিয়োগ হচ্ছে না। পাতাশপুর 1 বিডিও অভিযোগ করেছে বলে অভিযোগকারী কে হুমকি দিচ্ছেন তিনি। তাকে বদলি করার দাবি করেছেন।
পূর্ব মেদিনীপুর বিডিও কে সরানো দাবি করেছি। আবাস য়োজনা যে বিজ্ঞাপন তৃণমূল রেডিও তে দিচ্ছে সেটা বেআইনি এবং নির্বাচন আচরণ বিধি লঙ্ঘন হচ্ছে। কারণ ক্যাশ ট্রান্সফার বলে প্রলোভন করা হচ্ছে। বেআইনি কাজ যদি সিইও দফতর করে তাহলে আইনি কাজ কি করে হবে প্রশ্ন বামেদের।
পাশাপাশি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বাম নেতা। তাঁর দাবি, একের পর এক জায়গা থেকে বোমা উদ্ধার করা হচ্ছে। রাজ্য আইন শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। শুধু তাই নয়, ভুয়া নির্বাচনী আধিকারিক বাংলায় ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ বামেদের।
ভরতপুরের ঘটনা তুলে ধরে শমীক লাহিড়ী বলেন, ভুয়ো নির্বাচনী আধিকারিক ঘরে বেড়াচ্ছে। যদি এই ভাবে ভুয়া আধিকারিক দের নিয়ে নির্বাচন পরিচালনা করা হয় । তাহলে নির্বাচনের কি অবস্থা হবে সেটা স্পষ্ট বলে দাবি বাম নেতার। রাজ্যে নিযুক্ত মুখ্য নির্বাচন কমিশনের দফতর বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলে জানা গিয়েছে।