বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে হায়দরাবাদ পুলিশে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। এছাড়াও মামলা দায়ের করা হয়েছে হায়দরাবাদ কেন্দ্রের প্রার্থী কে বাধবী লতা, জি কিষাণ রেড্ডি, টি ইয়ামান সিং, রাজা সিং-সহ অন্য বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে।
তেলেঙ্গানা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সহ-সভাপতি নিরঞ্জন রেড্ডির অভিযোগে ভিত্তিতে হায়দরাবাদ সিটি পুলিশ এই মামলা দায়ের করেছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, পয়লা মে লালদাওয়াজা থেকে সুধা টকিজ পর্যন্ত বিজেপির কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন এইসব বিজেপি নেতারা। সেই সময় অমিত শাহের সঙ্গে মঞ্চে ছিল বেশ কয়েকটি শিশুও।
কংগ্রেস নেতা নিরঞ্জন রেড্ডি দবি করেছেন, একটি শিশুর হাাতে বিজেপির প্রতীকও দেখা গিয়েছে। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নির্দেশিকার লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে কংগ্রেসের তরফে। এব্যাপারে তারা সেই সংক্রান্ত ছবিও যুক্ত করে দেয়। যদিও এব্যাপারে বিজেপির তরফে তেমন কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
কংগ্রেসের কথা অভিযোগের প্রতিক্রিয়া নির্বাচন কমিশন হায়দরাবাদের পুলিশ কমিশনার শ্রীনিবাস রেড্ডিকে ঘটনার তদন্ত করতে নির্দেশ দেয়। পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে দক্ষিণ জোনের ডিসিপি স্নেহা মেহরা মামলা দায়ের করেন। তারপরেই মোঘলপুরা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। পুলিশ আইপিসির ১৮৮ ধারা অনুযায়ী (সরকারি আদেশ লঙ্ঘন) মামলা নথিভুক্ত করেছে।
নির্বাচন কমিশন এর আগে রাজনৈতিক দলগুলিকে নির্বাচনের প্রচারে শিশুদের ব্যবহার না করার নির্দেশ দিয়েছিল এবং বলেছিল এব্যাপারে তারা জিরো টলারেন্স নীতি নেবে। নির্বাচন কমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, রাজনৈতিক দলগুলি পোস্টার, প্যামফ্লেট, স্লোগান, প্রচার, নির্বাচনী সভায় শিশুদের ব্যবহার করতে পারবে না।
হায়দরাবাদ আসন থেকে এবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান সাংসদ তথা এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী করেছে কে মাধবী লতাকে। হায়দরাবাদে ভোটগ্রহণ করা হবে চতুর্থ দফায় আর্থাৎ ১৩ মে।