বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:আগামী মঙ্গলবার রাজ্যে তৃতীয় দফার নির্বাচন। এরপর পর পর নির্বাচন রয়েছে। দফা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে বাংলায় লোকসভা আসনও। বাড়ছে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যাও। সেখানে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করানোটা বড় চ্যালেঞ্জ কমিশনের (Election Commission of India) কাছে।
এই অবস্থায় বাড়ছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা। পঞ্চম দফায় ৭৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা হচ্ছে। চতুর্থ দফায় ৫৯৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) থাকবে বলে খবর।
আগামী ১৩ মে, চতুর্থ দফায় মোট ৮টি আসনে নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024) হবে। ভোট হবে বোলপুর, বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান দুর্গাপুর, আসানসোল এবং বীরভূম। পঞ্চম দফায় ভোট হবে আরামবাগ, বনগাঁ, ব্যারাকপুর, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, শ্রীরামপুর এবং হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে। ফলে বিশেষ সতর্ক কমিশন। যা খবর, চতুর্থ দফায় ৫৯৬ কোম্পানি বাহিনীর মধ্যে ৫৭৮ কোম্পানিকে ব্যবহার করা হবে। কুইক রেসপন্স টিমে থাকছে ১৪৮ বাহিনী। দ্বিতীয় দফার থেকে এই সংখ্যটা অনেক কম।
তবে জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের বিশেষ সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে। যে কোনও ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে পঞ্চম দফায় সাত আসনের ভোটে আসছে ৭৫০ কোম্পানি বাহিনী। বাহিনী কীভাবে মোতায়েন করা হবে তাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। যেমন তিন থেকে পাঁচটি বুথ রয়েছে এমন কেন্দ্রে নুন্যতম ১২ জন জওয়ানকে মোতায়েন করা হবে। তবে পাঁচের বেশি বুথ থাকলে অন্তত ১৮ জন জওয়ানকে রাখার কথা বলা হয়েছে কমিশনের তরফে।
অন্যদিকে তৃতীয় দফার নির্বাচন নিয়েও সতর্ক নির্বাচন কমিশন। জানা গিয়েছে তৃতীয় দফার ভোটে বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের চার আসনের জন্য ৩৩৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার জন্য মোতায়েন থাকবে ১১৪ কোম্পানি, জঙ্গিপুর কেন্দ্রের জন্য ৬৪ কোম্পানি এবং কৃষ্ণনগরের জন্য ১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
গত রামনবমীর দিন উত্তেজনা ছড়ায় মুর্শিদাবাদে। এমনকি গত কয়েকদিনে একাধিক বোমা উদ্ধার হয়েছে। ফলে ভোটের দিন অশান্তির আশঙ্কা রয়েছে। আর সেই আশঙ্কা থেকেই মুর্শিদাবাদের দুই লোকসসভা কেন্দ্রে বিশেষ নজর দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। বিশেষ করে কয়েকটি বুথে বিশেষ নজর।
ইতিমধ্যে এই বিষয়ে কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ওখানে আইন শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। মুর্শিদাবাদকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে আলাদা করার চেষ্টা চলছে। সমস্ত ক্রিমিনাল এবং অ্যান্টি ন্যাশনাল অ্যাকটিভিটি ওখানে চলছে। তৃণমূল চায় ভোট টা ওদের দিয়ে দিক। বাকি যা খুশি হোক।