বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:বর্ধমানের জনসভা থেকে দেশ গড়ার আরও একবার ডাক দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আরাম করার জন্য জন্মাইনি। নিজের জন্য বাঁচতে চাইনি। মানুষের সেবার জন্যই কাজ করে যাওয়া। জনসভা থেকে এই বার্তা দিলেন নরেন্দ্র মোদী।
‘আত্মনির্ভর ভারতের সংকল্প’ দীর্ঘদিন ধরে নরেন্দ্র মোদী সরকারের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবারের ভোটের প্রচারে সেই বার্তা দিয়ে চলেছেন। পশ্চিমবঙ্গে এসেও জনসভা থেকে সেই বার্তা দিয়েছেন। শুক্রবার বর্ধমানের সভা থেকে আরও একবার এই বার্তা দিলেন।
নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন, মানুষের স্বপ্ন। সেটি পূরণ করাই তাঁর একমাত্র কাজ। ভারতবর্ষের সাধারণ মানুষ একমাত্র তাঁর পরিবার। এছাড়া নরেন্দ্র মোদীর আর কোনও পরিবার নেই। সামনে পিছনে কোনও কিছু টানও নেই। এই দেশের শিশু-কিশোররা নরেন্দ্র মোদীর উত্তরসূরী। সাধারণ মানুষের জন্য, তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ উন্নত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সংকল্প করেছেন। “আমার ভারত আমার পরিবার”, এই স্লোগান আরও একবার মোদীর বক্তব্যে সামনে আসে।
বর্ধমানের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুরুর দিকে খানিকটা আবেগে ভেসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ, তাঁর ছোটবেলার কথাও তিনি বক্তব্যের মাঝে তুলে ধরেন। দারিদ্র দেখলে তাঁর শৈশবের কথা মনে পড়ে। ছোটবেলায় দারিদ্র দেখে বড় হয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। সেই কারণে দেশের থেকে দারিদ্র দূর করার সংকল্প করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
গত দশ বছরে দেশের ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্র সীমার অন্ধকার থেকে বেরোতে পেরেছেন। এই কথা বর্ধমানের মঞ্চ থেকে বললেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী পাঁচ বছর তিনি আরও কাজ করতে চান। সাধারণ মানুষকে দারিদ্র থেকে মুক্ত করতে চান। এই ইচ্ছা প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী।
ঈশ্বর রূপী মানুষের আশীর্বাদ পেয়ে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মানুষের জন্য সেবা করতে হবে। কাজ করতে হবে। ১৪০ কোটি মানুষের দেশ ভারতবর্ষ। সেই দেশের উন্নয়ন করতে হবে। মানুষের স্বপ্নপূরণ করাই মোদীর স্বপ্ন। এই জোরালো কথা বক্তব্যের শুরুতেই বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বর্ধমানে দিলীপ ঘোষের প্রচার সমর্থনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সভা করলেন। দিলীপ ঘোষকে জেতানোর আবেদন করলেন তিনি। দিলীপ ঘোষকে কাছের বন্ধু বলে পরিচয় দিলেন এদিন তিনি। বর্ধমান দুর্গাপুরে এসে সাধারণ মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই কথাও বলতে ভোলেননি মোদী।