বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:ছেলে সৌমেন্দু অধিকারীর (Soumendu Adhikari) মনোনয়নে ঢুকতে দেওয়া হল না বাবা শিশির অধিকারীকে (Sisir Adhikari)। আর তা নিয়ে উত্তেজনা ছড়াল নিমতৌড়ি জেলাশাসকের দফতরে। শুরু হয় বচসা। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা।
যদিও শেষমেশ শিশির অধিকারীকে জেলাশাসকের অফিসে ঢুকতে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন সৌমেন্দু।
তবে আজ বৃহস্পতিবার একেবারে অন্য রুপে ধরা দেন বিদায়ী সাংসদ। দেখা যায় গায়ে গেরুয়া চাদর জড়িয়ে রয়েছেন। যদিও সরকারি ভাবে শিশির অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেন এখনও। তবে গেরুয়া শিবিরে যোগ সময়ের অপেক্ষা! তবে শাহের মঞ্চে একবার দেখা গিয়েছে শিশির অধিকারীকে। এমনকি ছেলের নাম ঘোষণার পর তিনি বলেন, অনেক আগে থেকেই অধিকারী পরিবার বিজেপিতে। তাঁর আর আলাদা করে বিজেপিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগ দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
এখানে শেষ নয়, সম্প্রতি ছেলে সৌমেন্দুর প্রচারে বেরিয়ে মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন শিশির। এমনকি তৃণমূল যোগ দেওয়া তাঁর ভুল ছিল বলেও মন্তব্য করেছেন। এক জনসভায় বিদায়ী সাংসদ বলেন, চোর-ডাকাতে এখন তৃণমূল দলটা ভরে গিয়েছে। তবে লক্ষ্মীর ভান্ডারের জন্য এই ভোট নয়, দেশ গড়ার ভোট। ফলে মানুষকে বুঝেশুনে ভোট দেওয়ার কথা বলেন শিশির অধিকারী। এমনকি তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন এত দুর্নীতি জালিয়াতি আমি অন্য কোথাও বা কোনও রাজ্যে দেখিনি।
যদিও লোকসভা নির্বাচনের মুখে এহেন ভোলবদলকে তীব্র কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। পুরোটাই নাটক বলে তোপ স্থানীয় নেতৃত্বের। এমনকি এতদিন কেন তৃণমূলের সাংসদ পদ আঁকড়ে থাকলেন তা নিয়েও প্রশ্ন শাসকদলের। যদিও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি অধিকারী পরিবারের।
প্রসঙ্গত আজ বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারী ছাড়াও কাঁথির তৃণমূল প্রার্থী উত্তম বারিক এবং তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য মনোনয়ন জমা করার কথা আছে। নিমতৌড়ি জেলাশাসকের অফিসেই এই মনোনয়ন জমা দেবেন তাঁরা। ফলে সকাল থেকেই কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় জেলাশাসকের দফতর।
আর সেই সময় শিশির অধিকারী তার ছেলের সমর্থন মনোনয়ন জমা দেওয়ার কেন্দ্রের গেটে পৌঁছলে পুলিশ শুধুমাত্র কাঁথির বিজেপি প্রার্থীকে ঢুকতে দেয়। পরে গন্ডগোলের সূত্রপাত হলে অবশ্য শিশির অধিকারী ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়। তবে ঘটনার পর বিশাল পুলিশ বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে।