বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির মামলা এখনও সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। এরই মাঝে আবার জিটিএ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড় রায় দিল শীর্ষ আদালত।
হাইকোর্টের সিবিআই তদন্তের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তাতে স্বস্তিতে রাজ্য সরকার। কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার মঝেই জিটিএ-তে শিক্ষক নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছিল। সিবিআইএর পাওয়া একটি চিঠির উপরে এই মামলা করা হয়। তাতে হাইকোর্টের সিঙ্গিল বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার।
বুধবার সেই মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। তাতে সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়ে বলা হয়েছে আগামী দু সপ্তাহ এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। আগামী ২ সপ্তাহ কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না। এমনকী কাউকে এই মামলায় জেরাও করতে পারবে না সিবিআই। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই নিয়োগ দুর্নীতিতেও নাম জড়িয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।
নিয়োগ দুর্নীিত মামলা নিয়ে উথাল-পাথাল চলছে গোটা রাজ্যে। কয়েকদিন আগেই কলকাতা হাইকোর্ট প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০১৬ সালের সব প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে। তার জেরে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে। যাঁরা মেধার ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছে তাঁদেরও চাকরি গিয়েছে এই রায়ের ফলে এই নিয়ে আবার নতুন করে আন্দোলন শুরু হয়েছে।
এদিকে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার এবং পর্ষদ। মেধার ভিত্তিতে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন তাঁদের যাতে চাকরি না যায় তার জন্য তৎপর রাজ্য সরকার। এই নিয়ে আদালতে পর্ষদ জানিয়েছে তাঁরা মেধার ভিত্তিতে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন তাঁদের তালিকা তৈরি করে আদালতে পেশ করবেন। এদিকে সেই মামলার শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। তার মধ্যে আবার জিটিএ দুর্নীতি মামলাতেও হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশে এবার সুপ্রিম কোর্টে স্থগিতাদেশ মেলায় কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে রাজ্য সরকার।
নিয়োগ দুর্নীিত মামলায় একের পর এক নেতা মন্ত্রী গ্রেফতার হয়েছেন। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে কোটি কোিট টাকা উদ্ধার করে ইডি। যদিও সেই টাকা তাঁর নয় বলে দাবি করেছেন মন্ত্রী। এছাড়াও গ্রেফতার করা হয়েছে মানিক ভট্টাচার্য সহ একাধিক নেতা মন্ত্রীকে। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করে একাধিক দুর্নীতির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। তবে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে ২৬ হাজারের বেশি শিক্ষকের চাকরি যাওয়ার ঘটনা রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে রাজনৈতিক মহল।