বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:তৃণমূল প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের র্যালিতে গেলেন কুণাল। পরে দেখা গেল ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে রক্তদান শিবিরের মঞ্চে তাপস রায়ের সঙ্গে কুণাল।
মঞ্চ থেকে বিজেপি প্রার্থীর সুখ্যাতি করলেন। ছাপ্পা ভোট রুখতে বার্তা দিলেন। আর তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তৃণমূল কুণালকে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরানো হল। আর তারপরই কুণালের হয়ে ব্যাট ধরলেন তাপস রায়৷ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন তাপস।
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে দীর্ঘ দিনই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখাচ্ছেন তাপস রায়। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বাড়িতে এজেন্সি পাঠিয়েছিলেন। এই দাবি তাপস রায় করেছিলেন। এক প্রকার অভিমান করেই দল ছেড়েছিলেন তাপস রায়। এখন বিজেপি কলকাতা উত্তর কেন্দ্রের প্রার্থী তিনি। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উলটো দিকে তিনি লড়াই করছেন।
কুণাল ঘোষকে রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অপসারিত করা হয়েছে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই ফের ক্ষোভ দেখিয়েছেন তাপস। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বোধহয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গিয়ে কান্নাকাটি করেছেন। তাই কুণালকে শাস্তি দেওয়া হল। এমনই মন্তব্য করেছেন তাপস।
তাপস রায় বলেছেন, ” কুণাল ঠিক কথাই বলেছে। আশ্চর্যজনকভাবে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করলে সেটা শোনা হয়। অথচ সুদীপের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ শোনা হয় না। অথচ উত্তর কলকাতায় খুঁজলে বহু সুদীপ বিরোধী পাওয়া যাবে।”
তাপস রায় আরও বলেন, কুণাল যখন জেলে ছিলেন, তখন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় রোজ সকালে বাড়িতে বসে খ্যাঁক খ্যাঁক করে হাসত।” সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় গত ১০ বছরে সাংসদ কোটার টাকা সম্পূর্ণভাবে খরচ করতে পারেননি। এলাকার মানুষ সাংসদকে দেখতে পান না।
গত ১০ বছরে সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় কী পারফর্ম করেছেন? প্রশ্ন বিজেপি প্রার্থীর। তাপসের কটাক্ষ, ” কোন মুখে বড় বড় লেকচার দেয়? দুটো নয়, তিনটে নয়, চারটে নয়, একটাও প্রশ্ন পার্লামেন্টে করেনি।”