বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: করোনার ভ্যাকসিন কোভিশিল্ডে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি প্রস্তুতকারী সংস্থা ‘অ্যাস্ট্রোজ়েনেকা’র (AstraZeneca)। রীতিমত গম্ভীর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কথা জানিয়েছে ব্রিটিশ এই ফার্মা সংস্থা। আদালত গত ফেব্রুয়ারি মাসে একটি নথি জমা দেয় ‘অ্যাস্ট্রোজ়েনেকা’র (AstraZeneca)।
আর সেখানেই প্রথমবারের জন্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কথা জানায় সংস্থা। আর এই তথ্য সামনে আসার পর কার্যত আতঙ্ক বেড়েছে। করোনা পরিস্থিতি (Corona Virus) এখন অনেক স্বাভাবিক। গত প্রায় দুবছর আগে মারণ এই রোগ থেকে বাঁচতে ভ্যাকসিন মানুষের কাছে অপরিহার্য হয়ে ওঠে। বাজারে আসে কোভিশিল্ড (Covishield Vaccine) ।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সহযোগিতায় এই প্রতিষেধক তৈরি করে ‘অ্যাস্ট্রোজ়েনেকা’। যা ভারত সহ বিশ্বের একাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও ভ্যাকসিন নেওয়ার পর একাধিক অভিযোগ সামনে আসে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে প্রথম মামলা করেন জেমি স্কট নামে এক ব্যক্তি।
২০২১ সালে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, AstraZeneca ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ব্রেনে সমস্যা হয়েছে। এমন একাধিক ব্যক্তি এই বিষয়ে অভিযোগ জানান। এরপরেই আদালতে মামলা হয়। সেই মামলা দীর্ঘদিন ধরে চলছিল। মামলার শুনানিতে নিজেদের নির্দোষ প্রমানে একাধিক দাবিও পেশ করে। অবশেষে চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি।
ব্রিটিশ এই ফার্মা সংস্থা জানাচ্ছে, বিরল রোগ ‘থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম’ (TTS)-এ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি রয়েছে এই প্রতিষেধক নেওয়ার ফলে। এর রোগে আক্রান্ত হলে মানুষের মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধে (Blood Clots) এবং প্লেটলেটের সংখ্যা কমে যায়। আর এই তথ্য সামনে আসার পরেই চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে জনমানসের মধ্যে। এজন্য সংস্থাকে মোটা অঙ্কের টাকা গুণতে হবে।
বলে রাখা প্রয়োজন, AstraZeneca যখন Covid-19 ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করে তখন এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে অনেক বিতর্ক ছিল। তবে সংস্থা জানায়, ট্রায়ালের সময় ভ্যাকসিনের কোনও গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। বলা হয়, টিকা দেওয়ার পর ক্লান্তি, গলা ব্যথা এবং হালকা জ্বরের মতো উপসর্গ দেখা গেছে। কিন্তু কোনো মৃত্যু বা গুরুতর অসুস্থতার খবর পাওয়া যায়নি।
সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (SII) ভারতে কোভিশিল্ড তৈরি করে। এই বিষয়ে SII এর সঙ্গে AstraZeneca একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। সেরাম ইনস্টিটিউট বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা। তথ্য বলছে ভারতে প্রায় 80 শতাংশ ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হয় শুধুমাত্র Covishield-এর।