বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে বিপুল অস্ত্র ভান্ডারের খোঁজ! মিলল তিনটি মার্কিন পিস্তল।
যা খোলা বাজারে সে ভাবে পাওয়া যায় না। সেখানে সন্দেশখালির মতো প্রত্যন্ত এলাকায় কীভাবে সেই পিস্তল এল? সেটাই ভাবাচ্ছে সিবিআই আধিকারিকদের।
এমনকি আন্তর্জাতিক অস্ত্র চোরাচালান চক্রের তথ্যও উঠে আসছে। ফলে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অন্যদিকে আজ শনিবার ফের একবার সন্দেশখালি গিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। রাজবাড়ি এলাকায় ধৃত শাহজাহান শেখের এক ঘনিষ্ঠের বাড়ি এবং দোকানে তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই এদিন এই তল্লাশি অভিযান চলছে বলে খবর। যদিও এদিন যে ব্যক্তির বাড়ি এবং দোকানে তল্লাশি চালাচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকরা, তাঁর খোঁজ গত কয়েকদিন ধরে নেই বলেই দাবি স্থানীয়দের। এমনকি দোকানও বন্ধ রয়েছে বলে খবর।
অন্যদিকে শুক্রবার যে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে তা নিয়েও আলাদা ভাবে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। আর তাতে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। সিবিআইয়ের দাবি, সব মিলিয়ে শুক্রবার ৪০ লাখ টাকার অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। বিদেশি পিস্তলগুলিরই এক একটির দাম ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা।
এমনকি মার্কিন অস্ত্রগুলি আমেরিকা থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল বলেও অনুমান। তবে পাচার করতেই কী অস্ত্রগুলি জোড়ো করে রাখা হয়েছিল? খতিয়ে দেখছে সিবিআই। এই বিষয়ে শেখ শাহজাহানকেও জেরা করা হবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
তল্লাশিতে আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়াও বেশ কিছু বিল উদ্ধার হয়েছে। তাতে শাহজাহানের নাম পেয়েছেন আধিকারিকরা। সেই সূত্র ধরেই ধৃত ‘সন্দেশখালির বাদশা’কে জেরা করা হবে বলে সূত্রের খবর। এমনকি অস্ত্র পাচারের সঙ্গে তাঁর যোগ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে বলে খবর। এমনকি ইডির ওপর হামলার পর জলাশায় ঘেরা রহস্যময় বাড়িতে ওই অস্ত্রগুলি লুকিয়ে রাখা হয়েছিল কিনা সেটাও সিবিআই খতিয়ে দেখছে বলে জানা গিয়েছে।
তবে নির্বাচনের আবহে বিপুল পরিমান অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। সিবিআই এবং এনএসজি হানা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, এখন চকোলেট বোমা ফাটলেও সিবিআই-এনএসজি আসছে। এক তরফা ভাবে করা হচ্ছে। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকেও জানানো হচ্ছে না বলে দাবি।
অন্যদিকে সন্দেশখালির অস্ত্র ভান্ডার থেকে পুলিশের বন্দুক উদ্ধারে রাজ্য প্রশাসনকে একহাত নিয়েছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। এমনকি ডিজিকে হেফাজত নিয়ে জেরার দাবিও তুলেছেন তিনি।