বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টে এসএসসি স্বীকার করে নিয়েছিল নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু কাদের নিয়োগে দুর্নীতি তা তারা স্পষ্ট করে বলেনি।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শুরু হওয়ার পরে তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যাঁরা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন তাঁদের তালিকা চেয়েছিলেন। এবার তালিকা চেয়ে শিক্ষা দফতরকে চিঠি দিয়েছে সিবিআই। এমনটাই খবর সূত্রের।
ফলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যখন ২৫৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল নিয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার ও এসএসসি সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে, সেই সময় সিবিআই-এর ৫২৪৩ জন অযোগ্যের তালিকা চাওয়া যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ।
গত সোমবার হাইকোর্টের দেবাংশু বসাক ও শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ রায় দেওয়া সময় সিবিআইকে তদন্ত চালিয়ে যেতে বলেছিলেন। সে ক্ষেত্রে অযোগ্য প্রার্থীদের চিহ্নিত করার সিবিআই-এর ভূমিকা যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা সরকারি তরফে আপাতত সবাই যোগ্য বলে ধারনা তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
আদালতের নির্দেশ ছিল সিবিআই যেমন অতিরিক্ত নিয়োগে রাজ্য মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত নিয়ে যেমন তদন্ত করতে পারবে, তারা অযোগ্যপ্রার্থীদের চিহ্নিত করেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। ৫২৪৩ জনের তালিকা হাতে পাওয়ার পরে সিবিআই অযোগ্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড় সূত্র তাদের হাতে এসেছে বলে দাবি ইডি সূত্রে। কালীঘাটের কাকু অর্থাৎ সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা মিলে গিয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তল্লাশিতে গিয়ে ইডি সুজয় কৃষ্ণের মোবাইলে অডিও ক্লিপ পেয়েছিল। কথোপকথনে মোবাইলে থাকা নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য মুছে ফেলতে নির্দেশের কথা জানা যায়।