বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: রাস্তায় সারাইয়ের দাবিতে বিক্ষোভ দেখালো স্কুল পড়ুয়া সহ গ্রামবাসীরা। বাম আমল থেকে যাতায়াতের অযোগ্য রাস্তা রীতিমতো বেহাল হয়ে পড়েছে। এই চিত্রটি পটাশপুর ২ ব্লকের রাউতাড়া গ্রাম থেকে পঁচেটগামী রাস্তার। স্থানীয়দের দাবি, রাস্তার বেহাল দশার ফলে প্রতি বছর সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের৷ অভিযোগ, তারপরেও হুঁশ ফিরছে না স্থানীয় প্রশাসনের।

দেখলে মনে হবে ইট ভাটার কোনো এক স্থান। খানাখন্দে ভরা। টুকরো টুকরো ইটে ভর্তি।‌ তবে খন্দপথে দু’-এক জায়গায় লাল মোরামের দেখা মিলতে পারে। তা থেকে বোঝা যায়, এক সময় এটি যাতায়াতের রাস্তা ছিল। ঝুঁকির ওই রাস্তা দিয়েই নিত্যদিনের যাত্রা। পদে পদে ঘটে দুর্ঘটনা, বিশেষ করে বর্ষায়। স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তাদের এ সব অজানা নয়। একাধিক বার রাস্তা সংস্কারের দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। তবে লাভ হয়নি।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর ২ নং ব্লকের রাউতাড়া থেকে পঁচেটগামী রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে।‌ রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন। কিন্তু প্রশাসন নির্বিকার। সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ এতটাই সঞ্চার হয়েছে যে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ দেখায় গ্রামের মানুষ। রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে স্থানীয় প্রধানের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয় শতাধিক পড়ুয়া সহ গ্রামবাসীরা।

দীর্ঘ ১০/১২ বছর আগে রাস্তাটি সারাই করা হয়েছিল।‌ তারপর ভেঙেচুরে একাকার। সংস্কারের কোনও উদ্যোগ নেই। মাঝেমধ্যে বর্ষাকালে মোরামের প্রলেপ দেওয়া হয়। তবে তা লোক দেখানো মাত্র। অথচ দু তিনটি গ্রামের স্কুলের পড়ুয়াদের স্কুলের যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি।‌ বিকল্প রাস্তা না থাকায় প্রানের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। দুর্ঘটনা তাদের প্রায় নিত্যদিনের সঙ্গী। তা স্থানীয় প্রশাসনের চোখে পড়ে। কিন্তু প্রশাসন যেন ঠুটো জগন্নাথ। এছাড়াও ৯/১০ টি গ্রামের মানুষের ব্যাঙ্ক, গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস, স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাওয়ায় একমাত্র রাস্তা এটি। রাস্তা বেহাল ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর স্বাদের দুয়ারে রেশনও বন্ধ এই গ্রামে।

প্রতিবাদে সামিল গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য রাজু বেরা বলেন, “রাস্তায় বড় বড় গর্ত৷ খানাখন্দে ইটে ভর্তি। প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে আমাদের যাতায়াত করতে হয়৷ রাস্তায় এই অবস্থা হওয়ায় দুর্ঘটনাও ঘটছে৷ বর্ষাকালে অবস্থা আরও খারাপ হয়৷ বার বার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি৷ তাই আজ আমরা বিক্ষোভ দেখিয়ে স্মারকলিপি জমা দিলাম।”

রাজ্য সরকার যখন বারবার রাজ্যের উন্নয়নের প্রতি নজর দেওয়ায় জোর দিচ্ছেন, তখন স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ, জনপ্রতিনিধিরা কেন প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকার উন্নয়নে ব্যর্থ, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। প্রশ্ন উঠেছে স্থানীয় প্রশাসন কি তাহলে সত্যিই হাত কাটা ঠুটো জগন্নাথ। এ বিষয়ে পঁচেট ৪ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুরজিৎ মাইতির সঙ্গে বার বার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *