বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:এমন একটা সম্ভাবনা ক্রমেই প্রবল হয়ে উঠছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্য জুড়ে চলেছে হকার উচ্ছেদ কর্মসূচি। ফুটপাথ দখল মুক্ত করাই এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য।
তবে ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী সহ তৃণমূলের সমস্ত নেতা মন্ত্রীরাই বলেছেন যে পুনর্বাসন না দিয়ে কোনো হকারকেও উচ্ছেদ করা হবে না। কিন্তু দীঘার ক্ষেত্রে কি অন্য নিয়ম? প্রশ্ন দীঘার ব্যবসায়ী মহলের। জানা যাচ্ছে, ওড়িশা বর্ডার থেকে ওল্ড দিঘা গেট পর্যন্ত প্রায় দু’শোর বেশি দোকানদারকে উচ্ছেদের নোটিস দেওয়া হয়েছে পর্ষদের তরফে। আর এই নোটিস হাতে পেতেই কার্যত ক্ষোভ বেড়েছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে।বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে আপত্তি জানিয়েছে ওল্ড দিঘা, নিউ দিঘা সমস্ত সরকারি জায়গায় বসা হকাররা। কার্যত তারা রেগে ফুঁসছে।
হকারদের স্পষ্ট কথা, পুনর্বাসন না দিয়ে তাদের উচ্ছেদ করা চলবে না। আগে পুনর্বাসন পরে উচ্ছেদ। অবিলম্বে যদি এই বিষয়ে পর্যালোচনা না করা হয়,তাহলে মঙ্গলবার থেকে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে তাঁরা। আর তার জেরেই স্তব্ধ হতে পারে সমগ্ৰ সৈকত নগরী দিঘা। সকলেই চিন্তিত এই বিষয় নিয়ে। অনেক আগেই অভিযোগ উঠেছিল যে এই সমস্ত হকারেরা সকলেই স্থানীয় নেতাদের বিস্তর তোলা দিয়ে তবেই ওখানে দোকান করতে পেরেছে। এখন দোকান তুলে দিলে তো তাদের দু’কূলই গেলো! দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ কি ভূমিকা নেয়, এখন তা দেখার।