বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:কোটা বিরোধী আন্দোলকে হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে পরিনত করেছে বাংলাদেশের আন্দোলনকারীরা। তার জেরে ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালতে বাধ্য হয় শেখ হাসিনা। এর পরেই শুরু হয় দেশে চরম অরাজক পরিস্থিতি। সেই অবস্থায় দেশের অধিকাংশ ATM এ হয় টাকা নেই অথবা বন্ধ।

এর জেরে চরম অর্থ সঙ্কটে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। নগদ টাকা না থাকায়, কেনাকাটা করতে চরম সমস্যায় পড়ছেন মানুষ। কবে টাকা হাতে পাবেন, তা-ও অনিশ্চিত। ফলে আর্থিক সঙ্কট চরমে উঠেছে। বাজারে টাকার অভাবে ক্রেতা-বিক্রেতারা সমস্যায় পড়েছে।

সংকতের গভীরে গিয়ে বোঝা যাচ্ছে, গভীর উদ্বেগের বিভিন্ন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। কারণ দেশের সর্বত্র চলেছে লুঠতরাজ। ব্যাঙ্কগুলির তরফে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তার অভাবেই দেশজুড়ে অধিকাংশ ব্যাঙ্কের এটিএম বন্ধ। এটিএমে অর্থ সরবরাহের কাজ করে তৃতীয় পক্ষ। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে এই পরিষেবা বন্ধ। সেই কারণে এটিএমে টাকা থাকছে না। ফলে বন্ধ রাখা হয়েছে এটিএম-গুলি। ওয়ান ব্যাঙ্ক, মার্কেন্টাইল ব্যাঙ্ক, এবি ব্যাঙ্ক, এক্সিম ব্যাঙ্ক ও ব্যাঙ্ক এশিয়ার অধিকাংশ এটিএম-ই বন্ধ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি জাতীয় ও প্রাইভেট ব্যাংকের ATM ও বন্ধ। অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাঙ্কার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে জানান, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তৃতীয় পক্ষ এটিএমে টাকা সরবরাহের কাজ করে। বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতিতে, নিরাপত্তাহীনতার কারণে ব্যাঙ্কের এটিএমে টাকা সরবরাহ করা যাচ্ছে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *