বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক গত বছর খানিক ধরে ভারত মালদ্বীপের দূরত্ব বেড়েই চলেছিল। মালদ্বীপের নয়া রাষ্ট্রপতি মুইজ্জু চেয়ারে বসেই ‘ইন্ডিয়া আউট’ শ্লোগান শুরু করেন। তারপর বহু জল গড়িয়েছে এই দুই দেশের মধ্যে।এবার মনেহয় সম্পর্ক আবার স্বাভাবিক হতে চলেছে।
তিনদিনের মলদ্বীপ সফরে গিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। শনিবার ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর দেখা করেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর সঙ্গে। জানা গিয়েছে, দুই নেতার মধ্যে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সাক্ষাতের পর তিনি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লেখেন, “প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর সঙ্গে সাক্ষাৎ হল। প্রধানমন্ত্রী মোদীর শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়েছি। দুই দেশের জনগণ ও সমগ্র অঞ্চলের উন্নতির জন্য ভারত ও মলদ্বীপের সম্পর্ক আরও মজবুত করতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।” এবার প্রশ্ন, কেন মুইজ্জু হঠাৎ ভারতের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক গড়তে চাইছেন? বিশেষজ্ঞারা বলছেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসাবে ভারত প্রতি বছর তার বাজেটের কিছু অংশ মালদ্বীপকে সাহায্যের জন্য রাখে। আবার মালদ্বীপের প্রধান বাণিজ্য ‘পর্যটন’ – যা অনেকটাই ভারতের উপর নির্ভরশীল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লাক্ষাদ্বীপ সফরে যাওয়ার পরই মলদ্বীপের তিনজন মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী ও ভারতকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেন।এরপরই দুই দেশের সম্পর্ক তিক্ত হয়। মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুও চিনপন্থী হিসাবেই পরিচিত। তিনি ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই ভারত বিরোধী প্রচার করেছেন। প্রেসিডেন্ট পদে বসতেই মলদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান। সেই দাবি মতো সেনা প্রত্যাহার করে নেয় ভারত সরকারও। তারপর থেকেই শুরু হয় দুই দেশের মধ্যে বৈরিতা। তা এখন হয়তো কিছুটা কমে আসবে।