বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: জামিন পেলেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে। জমি দুর্নীতিতে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে জমি দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু করে ইডি। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই হেমন্ত সোরেনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।


কয়েকশো কোটি টাকায় তিনি জমি বিক্রি করেছিলেন বেআইনি ভাবে ভ্যালুয়েশন ৈতরি করে। এমনই অভিযোগ করেছিল ইডি। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীনই তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। তারপরে তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ ছেড়ে ইডির কাছে আত্মসমর্পণ করেন।

২০২৪ সালের ৩১ জানুয়ারি তাঁকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। তদন্তকারীদের কাছে অভিযোগ ছিল রাঁচিতে ৮.৮৬ কোটি টাকার জমি বেআইনিভাবে দখল করে রেখেছিলেন হেমন্ত সোরেন। এছাড়াও আর্থিক তছরূপের অকাধিক অভিযোগ হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে জমা পড়েছিল ইডির কাছে।

তদন্তকারীরা জানিয়েছিলেন একাধিক সরকারি আধিকারীকে ভুয়ো ক্রেতা সাজিয়ে তাঁদের নামে বিক্রি করা হয়েছিল কোটি কোটি টাকার জমি। একািধক জমি দুর্নীতির সঙ্গে হেমন্ত সোরেন জড়িত বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ছিল বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা।

হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারির পরেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে ইডি। আবগারি দুর্নীতি মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কয়েকজিন আগে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে জামিনও পেয়েছিলেন কেজরিওয়াল। কিন্তু ইডি বিরোধিতা করে দিল্লি হাইকোর্টে আর্জি জানায়। তারপরেই তার জামিনে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই কেজরিওয়ালকে সিবিআই গ্রেফতার করেছে। এখন সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন তিনি।

২০২৩ সালের একটি মামলায় বাধগাইন এলাকায় ভূমি রাজস্ব পরিদর্শক ভানুপ্রতাপ প্রসাদকে গ্রেফতারের পর থেকেই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর নাম জড়িয়ে পড়ে। তাঁকে জেরা করেই জমি সিন্ডিকেটের খোঁজ পায় ইডি। ভূমি রাজস্ব আধিকারীক জানিয়েছেন যে ভুয়ো জমির কাগজ তৈরি করে বিক্রি করতেন তিনি। তার কাছ থেকে বেশ কিছু জমির দলিল পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। তখনই ৮.৩৮ একরের একটি জমির খোঁজ পান তাঁরা। জমিটি হেমন্ত সোরেন দখল করে রেখেছিলেন বলে জানতে পারেন। তারপরেই তাঁকে জেরা করার জন্য তলব করে ইডি।

কিন্তু একাধিকবার হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তারপরে তাঁর বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি শুরু করে। কিন্তু হেমন্ত সোরেনের হদিশ পায়নি তারা। শেষে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। প্রায় ৫ মাস পরে তিনি জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *