বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: বরাহনগর এবং ভগবানগোলার দুই বিধায়কের শপথ নিয়ে এখনও রয়েছে জটিলতা। এই বিষয়ে আইনের দ্বারস্থ হতে পারেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee)। ইতিমধ্যে আইনি পরামর্শও নিয়েছেন।

আর এর মধ্যেই প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়েরই (Jagdeep Dhankhar) দ্বারস্থ হলেন রাজ্য বিধানসভার স্পিকার। তাঁর আমলেও রাজভবন এবং বিধানসভার মধ্যে নজিরবিহীন সংঘাতের (Oath Taking Row) ঘটনা ঘটেছে।

কিন্তু জটিলতা কাটাতে উপ রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হলেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ ফোনে কথা বললেন স্পিকার। জানা গিয়েছে, বরাহনগর এবং ভগবানগোলার দুই বিধায়ক অর্থাৎ সায়ান্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রায়াত হোসেন সরকারের শপথ নিয়ে উপরাষ্ট্রপতি ধনখড় বেশ কিছু পরামর্শও দিয়েছেন বলে খবর। অন্যদিকে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকেও একটি চিঠি বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছেন বলে খবর।

যেখানে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (C V Ananda Bose) একপেশি মনোভাব নিয়ে কার্যত অভিযোগ জানান বলে খবর। শুধু তাই নয়, রাজ্যপাল বোস যাতে দুই বিধায়কের শপথ বাক্য পাঠ করান সেই বার্তাও রাষ্ট্রপতিকে দেওয়ার আবেদন জানান স্পিকার।

অন্যদিকে বিধানসভা চত্বরে আম্বেদকারের সামনে আজ শুক্রবারও ধর্নায় বসেছে রয়েছেন সায়ান্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রায়াত হোসেন সরকার। শপথ দেওয়া না পর্যন্ত তাঁরা এভাবেই ধর্নায় বসে থাকবেন বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। এমনকি রাজভবনে গিয়েও শপথ নেওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই বলেও জানান সায়ান্তিকা। অন্যদিকে আজ তাদের সঙ্গেই ধর্নায় বসে রয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং শশী পাঁজা।

মেয়র বলেন, ইচ্ছাকৃত ভাবে রাজনীতি করা হচ্ছে। কোনও নিয়ম মানা হচ্ছে না। অমিত শাহকে খুশী করতেই এই সমস্ত কাজ চলছে বলে দাবি ফিরহাদের। এমনকি রাজ্যপাল বিজেপির হয়ে রাজনীতি করছে বলেও তোপ দাগেন তিনি।

তবে এই মুহূর্তে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস দিল্লিতে রয়েছেন। কবে ফিরবেন এখনও স্পষ্ট নয়। এই অবস্থায় কবে বরাহনগর এবং ভগবানগোলার দুই বিধায়ক অর্থাৎ সায়ান্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রায়াত হোসেন সরকারের শপথ হবে তা নিয়ে জটিলতা অব্যাহত আরও কয়েকদিন থাকবে বলেই আশঙ্কা রাজনইরতিকমহলের। আর এই সংঘাতের আবহে আটকে রয়েছে দুই বিধানসভা এলাকার পরিষেবা।

যদিও এই ঘটনায় বৃহস্পতিবারই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের ভূমিকাও নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এমনকি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যে রাজভবনে কেউ যাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *