বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
কলকাতায় এলেন ইডির ডিরেক্টর রাহুল নবীন। সোমবার মধ্যরাতে তিনি কলকাতায় এসেছেন বলে জানা গিয়েছে। সন্দেশখালিতে তিন ইডি আধিকারিক রক্তাক্ত হওয়ার পরে সংস্থার শীর্ষ কর্তার কলকাতায় আসার ঘটনা যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। এদিন তিনি সন্দেশখালি ও বনগাঁর তল্লাশিতে যুক্ত থাকা আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক বসবেন বলে জানা গিয়েছে।
সন্দেশখালিতে ইডির তল্লাশিতে বাধা পাওয়ার পর চার দিন কেটে গিয়েছে। সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় শেখ শাহজাহানের বাড়িতে পৌঁছনোর আগেই বাধা দেন গ্রামবাসীরা। তারই মধ্যে সাড়া না পেয়ে শেখ শাহজাহানের দরজার তালা ভাঙার চেষ্টা করেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। সেই সময় প্রায় হাজারজন ইডির আধিকারিক ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপরে হামলা চালিয়ে, তাঁদেরচকে এলাকা ছাড়া করে।
সেই হামলায় তিন ইডির আধিকারিক গুরুতর আহত হন। তাঁদেরকে কোনও রকমে কলকাতায় পাঠিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শুক্রবার সকালে ওই ঘটনার পরে গভীর রাতে বনগাঁয় শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করে গাড়ি তোলার সময়ও প্রায় একই পরিস্থিতি তৈরি হয়। ইডির অভিযোগ বনগাঁয় পুলিশ সুপারের কাছে বাহিনী চাওয়া সত্ত্বেও তা মেলেনি।
সন্দেশখালির ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান এখনও নিখোঁজ। তার নামে লুক আউট নোটিশ জারি করেছে ইডি। রাজ্য পুলিশের ডিজি অপরাধীদের ধরার ইঙ্গিত করেছেন। যদিও সন্দেশখালিতে তাণ্ডবের ঘটনা ইডির তরফে নিম্ন আদালতে জানানো হয়েছে। এবার ওই ঘটনায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা ও তদন্তকারীদের নিরাপত্তা নিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থা হতে চায় ইডি। কেননা আদালতের তত্ত্বাবধানেই দুর্নীতি বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে ন্যাজাট থানায় অভিযোগ করা ছাড়াও, বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও রাজ্যপালকেও জানিয়েছে ইডি। তাঁদেরকে বিস্তারিত রিপোর্টও দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পাশাপাশি দ্বিতীয়বারের জন্য সোমবার ইডির তরফে দাবি করা হয়েছে রেশন দুর্নীতি কমপক্ষে নয় থেকে ১০ হাজার কোটি টাকার। সেই পরিস্থিতিতে সংস্থার ডিরেক্টর রাহুল নবীনের কলকাতা সফরের পরে তদন্তে কতটা গতি আসে, এখন সেটাই দেখার।