বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:বিখ্যাত এক সিনেমায় নায়ক সানি দেওয়াল ক্ষুব্ধ হয়ে আদালতে বিচারপতিকে বলছেন,’তারিখ পে তারিখ, তারিখ পে তারিখ।’ বর্তমানে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের DA মামলার প্রায় সেই অবস্থা।

গত ৮ বছর ধরে বকেয়া ডিএ আদায়ের দাবিতে আইনি লড়াই জারি আছে সরকারি কর্মীদের। এই আবহে প্রায় সব ক্ষেত্রেই এখনও পর্যন্ত জয়ী হয়েছে সরকারি কর্মীরাই। তবে বর্তমানে এই মামলা ঝুলে আছে সুপ্রিম কোর্টে। পরপর পিছিয়ে যাচ্ছে এই মামলা। এই আবহে হোলির আগে সরকারি কর্মীদের মুখে হাসি ফোটার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। তবে গত ১৮ মার্চও সময়ের অভাবে মামলাটির শুনানি হয়নি শীর্ষ আদালতে। রিপোর্ট অনুযায়ী, জুলাই মাসে ডিএ মামলা ফের উঠতে পারে সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ডিএ কেস স্টেটাসে গিয়ে ‘লিস্টিং ডেট’ সেকশনে দেখা যাচ্ছে, মামলাটিকে ১৫ জুলাই তালিকাভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

এখন প্রশ্ন, কেন বার বার করে এই তারিখ পিছিয়ে যাচ্ছে? কেনই বা বিচারপতিরা বার বার করে এই বিচার প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন? প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টে ডিএ সংক্রান্ত যে মামলা চলছে, সেটা পঞ্চম বেতন কমিশন সংক্রান্ত। ২০১৬ সাল থেকে সেই মামলা চলছে। যা স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল, কলকাতা হাইকোর্ট হয়ে সুপ্রিম কোর্টে এসেছে। এই
মামলায় প্রথমে স্যাটে জয় পেয়েছিল রাজ্য সরকার। তারপর থেকে প্রতিটি ক্ষেত্রে জয় পেয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। উল্লেখ্য, গত ২০২২ সালের ২০ মে হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিল রাজ্য। তা খারিজ হয়ে গিয়েছিল। তারইমধ্যে রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার দায়ের করেছিল তিনটি রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন। এরপর ২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে প্রথমবারের মতো ডিএ মামলাটি উঠেছিল। এর পর থেকে একের পর এক তারিখ দেওয়া হলেও নানা কারণে সম্পূর্ণ শুনানি হয়নি। হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বকেয়া ডিএ না দেওয়ায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অবাননার মামলা হয়। এখন দেখার, পরবর্তী দিনে ওই মামলার কোনো রায় বের হয় কিনা!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *