বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: বাংলায় লোকসভা ভোটের প্রচারে এখনও পর্যন্ত একদিনও দেখা যায়নি কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে। এমনকি লোকসভার কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরির খাস তালুক বহরমপুরেও প্রচারে আসেননি রাহুল গান্ধী, ল্লিকার্জুন খড়গে সহ কংগ্রেসের কোনও শীর্ষনেতা।
ভোটের প্রচারে বার বার মমতাকে নিশানা করেছেন অধীর চৌধুরি। মমতা ইস্যুতে অধীরের সঙ্গে যে কংগ্রেসের দিল্লির নেতাদের মতের মিল নেই, তা আরও একবার প্রকাশ্যে এল।
ভোটের পর ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় এলে সেই সরকারকে বাইরে থেকে সমর্থনের কথা একটি নির্বাচনী জনসভা থেকে ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সুপ্রিমোর এই ঘোষণার পর থেকেই তাঁকে তীব্র কটাক্ষ করেন অধীর চৌধুরি।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেছিলেন, আমি তাকে বিশ্বাস করি না। তিনি জোট ছেড়ে পালিয়ে যান। তিনি বিজেপির দিকেও যেতে পারেন। তিনি বলেছিলেন কংগ্রেস ৪০ টির বেশি আসন পাবে না কিন্তু এখন তিনি বলছেন বাইরে থেকে সমর্থন দেওয়ার কথা। যে এর অর্থ হল কংগ্রেস দল এবং জোট ক্ষমতায় আসছে।এখন দেখছেন হাওয়া বদলাচ্ছে। তাই এ দিকে ভিড়তে চাইছেন। বিজেপির দিকে পাল্লা ভারী দেখলে ও দিকে যাবেন।”
কিন্তু অধীরের মনোভাবকে যে কংগ্রেস হাইকমান্ড ভালোভাবে মেনে নেয়নি তা মল্লিকার্জুন খার্গের কথাতেই স্পষ্ট হল। শনিবার খার্গে, শরদ পওয়ার, উদ্ধব ঠাকরে-সহ ‘ইন্ডিয়া’র নেতারা লখনউয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানেই অধীরের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, ”অধীর রঞ্জন চৌধুরী সিদ্ধান্ত নেন না, আমরাই সিদ্ধান্ত নিই, কংগ্রেস পার্টি, হাইকমান্ড, তাই আমরা যে সিদ্ধান্ত নেব তা সঠিক হবে।হয় হাইকমান্ডের কথা মানতে হবে, তাদের সিদ্ধান্ত অনুসরণ করতে হবে, না হলে বাইরে যেতে হবে।”
মমতার জোট সরকারকে বাইরে থেকে সমর্থন দেওয়ার প্রসঙ্গে খার্গে বলেন, ”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমে বাইরে থেকে সমর্থনের কথা বলেছিলেন। বাইরে থেকে সমর্থন কোনও নতুন বিষয় নয়। প্রথম ইউপিএ সরকারে বামেরাও বাইরে থেকে সমর্থন করেছিলেন। কিন্তু তার পরেও মমতার আরও একটি বিবৃতি এসেছে। একটি বিষয় তার মন্তব্য থেকে পরিষ্কার তিনি ‘ইন্ডিয়া’য় আছেন এবং জোট সরকার গঠিত হলে তিনি তাতে যুক্ত হবেন।’
বুধবার মমতা বলেছিলেন, ‘ইন্ডিয়াকে নেতৃত্ব দিয়ে, বাইরে থেকে সব রকম সাহায্য করে আমরা সরকার গঠন করে দেব।’ এরপর ২৪ ঘণ্টা পার হতেই তমলুক থেকে বৃহস্পতিবার মতা বলেন, ‘অনেকে আমায় ভুল বুঝেছে। আমি জোটে আছি।’