বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:হারের ডাবল হ্যাটট্রিকের পরই ‘কার্যত বিদায়’ শব্দ জুড়ে গিয়েছিল আরসিবি নামের পাশে। হতাশা কাটিয়ে চলতি আইপিএলে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন করল বেঙ্গালুরু। নতুন করে প্লে-অফের স্বপ্নে বুঁদ আরসিবি সমর্থকরা।
রবিবার চিন্নাস্বামীতে দিল্লিকে ৪৭ রানে হারিয়ে প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলেন বিরাট কোহলিরা। টানা পাঁচটি ম্যাচ জিতে নিল বেঙ্গালুরু। দিল্লিকে হারিয়ে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে আরসিবি।
শনিবার বেঙ্গালুরুতে সিএসকে এবং আরসিবি ম্যাচই প্লে-অফের নির্ধারক হতে চলেছে, সিএসকে বনাম আরসিবি ম্যাচ চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামে দক্ষিণ ভারতের ‘এল ক্লাসিকো’- নাতমে পরিচিত। আর দক্ষিণী ডার্বিতে আরসিবিকে জিততেই হবে। তাহলে ১৪ পয়েন্টে পৌঁছাবে। তবেই আইপিএলের প্লে-অফে যেতে হলে একইসঙ্গে আরসিবিকে অনেক অঙ্ক মেলাতে হবে।
চেন্নাইয়ের নেট রান রেট ছাপিয়ে যেতে ঘরের মাঠে অন্তত ১৮ বা তার বেশি রানে জিততে হবে। যদি আরসিবি দ্বিতীয় ব্যাটিং করে তাহলে ১৭.৫ ওভারের আগেই নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে জয়ের আগে আরও অনেক অঙ্কে নজর রাখতে হবে আরসিবিকে। ধোনিদের বিরুদ্ধে নামার আগে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও লখনউ সুপার জায়ান্টসের ফলের দিকে নজর রাখতে হবে।
অন্যতম শর্ত হল যে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে দুটি ম্যাচেই হারতে হবে। লখনউ সুপার জায়ান্টসও ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্টে আছে। তবে রাহুলদের নেট রান রেট মাইনাস (-) ০.৭৬৯। লখনউয়ের এখনও দুটি ম্যাচ বাকি। দিল্লি ক্যাপিটালস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে। লখনউ এই দু-ম্যাচের মধ্যে একটি জিতলেও নেট রান রেটে অনেকটাই পিছিয়ে। তাদের কাছে দুটি ম্যাচ জিতে আরসিবিকে ছাপিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। ফলে লখনউকে একটা ম্যাচে হারতেই হবে। দিল্লিকেও শেষ ম্যাচে জয় পেলে হবে না। কিন্তু দিল্লি এবং লখনউয়েরই খেলা বাকি।
কিন্তু হারের ডাবল হ্যাটট্রিকের পর কোন যাদু কাঠির ছোঁয়ায় বদলে গেল আরসিবি। সৌজন্যে অবশ্যই বিরাট কোহলির ব্যাট। তাঁর স্ট্রাইক রেট নিয়ে যতই সমালোচনা হোক না কেন দিনের শেষ রান সংখ্যাটাই শেষ কথা বলে। ১৩ ম্যাচ শেষে কোহলির নামের পাশে ৬৬১। সর্বাধিক রান সংগ্রহকারীর তালিকায় শীর্ষে বিরাট। একটি শতরান ও পাঁচটি অর্ধশতরান আছে তাঁর নামের পাশে।
আরও একজনের কথা উল্লেখ করতে হবে তিনি রজত পাটীদার। দিল্লির বিরুদ্ধে মরন বাঁচন ম্যাচে বিরাট-কার্তিকরা ফ্লপ হলেও হিট কিন্ত রজত। বিধংসী ব্যাটিং করেন আরসিবি তারকা। শেষ পর্যন্ত ৩২ বেল ৫২ রান করেন রজত। তিনটি ছক্কা ও তিনটি চার মারেন।