বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: ভোটের আগের রাতে খুন তৃণমূল কর্মী। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে। এই কেতুগ্রাম কেন্দ্রটি পড়ছে বোলপুর কেন্দ্রের অধীনে। মৃতের নাম মিন্টু শেখ। কাজ থেকে বাড়ি ফেরার সময় তাঁকে বোমা মেরে, কুপিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের তরফে সিপিআইএমের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে।
যদিও মৃতের স্ত্রী বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, তৃণমূল ছেড়ে আসতে চাইছিল মিন্টু শেখ। কিন্তু তৃণমূল তাতে রাজি ছিল না। সেই কারণেই এই খুন। যদিও এই ব্যাপারে তৃণমূলের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। সোমবার সকাল পর্যন্ত এই ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রবিবার রাতে কেতুগ্রামের আনখোনা গ্রাম পঞ্চায়েতের চেঁচুরি গ্রামের ওই ঘটনার পরে এলাকায় যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। এর আগে ভোটের আগে বারে বারে উত্তপ্ত হয়েছে কেতুগ্রাম ও মঙ্গলকোট। এবার ভোটের আগের রাতে খুনের ঘটনা ঘটল।
তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, রবিবার সন্ধের পরে নিজের গ্রামে তৃণমূলের হয়ে নির্বাচনী কাজে বেরিয়ে ছিলেন মিন্টু শেখ। সেই সময় তাঁর ওপরে হামলার ঘটনা ঘটে। ভোটের কাজে মিন্টু শেখ সক্রিয় ছিলেন বলে দাবি করেছে তৃণমূল। যা নাকি স্থানীয় সিপিআইএম নেতৃত্বের পছন্দ ছিল না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এক সঙ্গীকে নিয়ে বাইকে বাড়িতে ফিরছিলেন মিন্টু শেখ। সেই সময় বাইকে করে বেশ কয়েকজন তাঁর পথ আটকায়। তারপরেই তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর পরে বোমা মেরে পালিয়ে যায়। সঙ্গী গুরুতর আহত হলেও, এখনও তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
রাতে তৃণমূল কর্মীর দেহ উদ্ধারে গেলে পুলিশকে বাধার মুখে পড়তে হয়। কাটোয়ার এসডিপিও বিশাল পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। মৃতের পরিবারের তরফে খুনের পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে দায়ী করা হয়েছে। মাস তিনেক আগে মিন্টু শেখ তৃণমূল ছাড়েন বলে দাবি পরিবারের। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা ও অস্ত্র আইনে মামলা রয়েছে। পুরনো শত্রুতার জেরেই খুন বলে দাবি পুলিশ সূত্রের।