বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:রয় কৃষ্ণাদের ২-০ ব্যবধানে উড়িয়ে টানা দ্বিতীয়বার আইএসএল ফাইনালে মোহনবাগান এসজি। মরশুমের শুরুতেই ডুরান্ড কাপ জয়, মুম্বইকে হারিয়ে প্রথমবার লিগ শিল্ড জিতেছে হাবাসের ছেলেরা। এবার সবুজ মেরুনের লক্ষ্য ত্রি মুকুট।
সেমিফাইনালের দ্বিতীয় পর্বের কঠিন ম্যাচে ওডিশাকে হারানোর পরই নিজের পরবর্তী লক্ষ্য স্থির করে ফেলেছেন মোহনাবাগান এসজির কোচ হাবাস।
ফাইনালে উঠার পর মোহনবাগান এসজি কোচ হাবাস বলেন, ‘এ বার আমাদের পরবর্তী ধাপে যেতে হবে।ফাইনালে সামনে যে দলই থাকুক না কেন আমরা জেতার জন্যই মাঠে নামব। সেমিফাইনালে দলের ফুটবলাররা এই প্রচণ্ড গরম ও আর্দ্রতার মধ্যে যা পরিশ্রম করেছে, তা প্রশংসা করার মতো। এ জন্য দলের খেলোয়াড় থেকে সাপোর্ট স্টাফ প্রত্যেকে অভিনন্দন। ওরা নিখুঁত পেশাদারিত্বের প্রমাণ দিয়েছে। এই পারফরম্যান্সে আমি খুবই খুশি।’
ওডিশাকে হারানোর পর হাবাস উল্লেখ করেছেন, ‘সেমিফাইনালে দলের ফুটবলারদের মধ্যে একটা জিনিসের কখনও অভাব হয়নি সেটা হল শক্তি। এই ম্যাচে পুরো ৯০ মিনিট সমান শক্তি ও উৎসাহ নিয়ে খেলেছে আমাদের ছেলেরা। যারা পরিবর্ত হিসেবে নেমেছে, তারাও একই রকম উদ্যম নিয়ে লড়াই করে গিয়েছে। এই জয়ে দলের সবার ভূমিকা ছিল।’
ঘরের মাঠে সমর্থকরাও সমর্থনের ডালি নিয়ে হাজির হয়েছিল যুবভারতীতে। প্রিয় দলের জার্সি গায়ে চাপিয়ে, হাতে সবুজ-মেরুন পতাকা নিয়ে, গায়ে জাতীয় ক্লাবের লোগো এঁকে ভক্তরা পৌঁছে গিয়েছিলেন যুবভারতীতে। ফল যা হওয়ার তাই হয়। প্রায় ৬২ হাজার দর্শকের শব্দব্রহ্মের কাছে আত্মসমর্পণ করে লোবেরার দল।
এমন সমর্থনের সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন মোহনবাগানের দুই তারকা বিদেশি জেসন কামিংস আর দিমিত্রি পেত্রাতোস। কামিংস বলছেন, “মোহনবাগান সমর্থকরা দেশের সেরা।” একইসঙ্গে অজি তারকা আরও বলেন, “চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।”
ঘরের মাঠে ফাইনাল খেলতে নামবে মোহনবাগান এসজি। এই প্রসঙ্গে দলের অধিনায়ক শুভাশিস বসু বলেন, ‘অবশ্যই ঘরের মাঠে খেলাটা আমাদের কাছে বাড়তি একটা সুবিধা কারণ সমর্থন আমাদের দিকেই থাকবে। আমি প্রথম লেগের সেমিফাইনালের পরই বলেছিলাম ওডিশাকে হারিয়ে আমরা ফাইনালে যাবো, এবার আমাদের লক্ষ্য ট্রফি। কারণ আমরা সারা বছর যে পরিশ্রম করেছি তা পূর্ণতা পাবে ট্রফিটা পেলেই। ম্যাচ হেরে ওডিশার প্লেয়াররা নিজেদের উপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে আমাকে জলের বোতলও ছোড়ে। এটা নিয়ে আমি বেশি কিছু বলতে চাই না।’