বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: লাইন দিয়ে সপরিবারে তারা ভোট দিতে এসেছেন। রোদের তেজ বাড়বে বেলা গড়ালেই। তাই সকাল সকালই ভোটকেন্দ্রে পৌঁছে গিয়েছিল মাঝি পরিবার। আর তাদের মধ্যমণি ৮৭ বছরের বৃদ্ধা পুতুল মাঝি৷
পরিবারের মোট ১১জন সদস্য সদস্যা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। তাদের সকলের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় বালিকা বিদ্যালয়ের বুথে এসে ভোট দিলেন পুতুল মাঝি৷ বয়সের ভারে ন্যুব্জ। বয়সের কারণে চেহারা ছোট হতে শুরু করেছে। কিন্তু চলাচলে এখনও তিনি সম্পূর্ণ সক্ষম।
জলপাইগুড়ি পুরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের কিংসাহেব ঘাট এলাকার বাসিন্দা। পরিবারের মোট সদস্য সদস্যার সংখ্যা ৪০ জন। একান্নবর্তী পরিবারে পুতুল মাঝিই এখন সব থেকে প্রবীণ। তাই তাঁকে ঘিরে উচ্ছ্বাস, আনন্দও দেখা যাচ্ছে।
৮০ বছর বয়স হয়ে গেলে সেই ব্যক্তি বাড়িতে বসে ভোট দিতে পারেন৷ কিন্তু তিনি বাড়িতে বসে ভোট দিতে চাননি। শরীর সক্ষম আছে। সেই কারণে ভোট কেন্দ্রেই তিনি ভোট দিতে এলেন সকলের সঙ্গে। পুতুল মাঝি বলেন, “আমি এখনও সুস্থ। আমি হাঁটতে পারি। কোনও সমস্যা নেই। এই কারণে বুথে এসে ভোট দিলাম সবাইকে নিয়ে। খুব ভালো লাগছে।” কারোর সাহায্য নিতে হয়নি বুথের ভিতরেও। নিজেই একা ভোট দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
মাঝি পরিবারের সদস্যা সুমন মাঝি বলেন,”আমাদর মোট পরিবারের সদস্য ৪০ জন। ১১ জন একসঙ্গে এসে ভোট দিলাম। খুব ভালো লাগছে।” মাঝি পরিবারের নতুন ভোটার ডলি মাঝি বলেন, “আমার এই বছর প্রথম ভোট। দিদার সঙ্গে এসে আমরা সবাই ভোট দিলাম। খুব ভালো লাগছে। তবে চাইব শিক্ষার মান আরও ভালো হওয়া উচিত।”